Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Mamata Banerjee

স্বাধীনতা দিবসেও অব্যাহত তিক্ততা, চা-চক্রে মমতা যোগ না দেওয়ায় ঝাঁঝালো টুইট রাজ্যপালের

স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় রাজ্যপালের ডাকা চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারবেন না বলে আগেই রাজভবনকে জানানো হয়েছিল, দাবি নবান্নের।

চা চক্রে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। —ফাইল চিত্র।

চা চক্রে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২০ ১৪:০৬
Share: Save:

বিকালে চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিতে পারবেন না। আগে ভাগেই তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজভবনকে। তবে সকালে রেড রোডে কুচকাওয়াজ শেষ হওয়ার পরে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সৌজন্য সেরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে বিতর্ক থেমে থাকল না। বিতর্ক উস্কে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নিজেই। চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য যে আসন নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছিল, সেই শূন্য আসনের ছবি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ফাঁকা আসনটি থেকে স্পষ্ট যে একটা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা কিনা বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং নৈতিকতার খাপ খায় না।’’ মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় এই মন্তব্যই করলেন রাজ্যপাল।

শনিবার স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় রাজভবনে জগদীপ ধনখড়ের চা-চক্রের আসরে নিমন্ত্রিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি যে ওই আসরে যোগ দিতে পারবেন না, তা আগেই রাজভবনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে নবান্ন সূত্রে খবর। তার পরেও রেড রোডে কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান সেরে গতকাল সকালেই পৌঁছন মমতা। হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে ধনখড়কে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান তিনি। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘বিকালের অনুষ্ঠানে আসতে পারব না, তাই আগে ঘুরে গেলাম। আড্ডা দিয়ে গেলাম। রাজ্যপালকে স্বাধীনতা দিবসের অভিনন্দন জানিয়েছি।’’

তবে মমতা না এলেও প্রোটকল মেনে চা-চক্রে তাঁর জন্য আলাদা আসন রাখা হয়। সেই ফাঁকা আসনের ছবি পোস্ট করে গতকাল রাতে টুইটারে রাজ্যপাল লেখেন, ‘‘রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আসনটি রাখা হয়েছিল। কিন্তু ফাঁকা আসনটি থেকেই স্পষ্ট যে একটা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা কিনা বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং নৈতিকতার খাপ খায় না। এই অনাবশ্যক অবস্থানের সপক্ষে কোনও যুক্তিই খাটে না।’’

পর পর এই টুইটগুলোই করেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন: আগের চেয়ে ভাল আছেন প্রণব, জানালেন ছেলে অভিজিৎ​

ধনখড় আরও লেখেন, ‘‘রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনুপস্থিতিতে আমি স্তম্ভিত। যাঁরা দেশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব কিছু বিসর্জন দিয়েছেন, এই দিনে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন। আমি বাকরহিত।’’ ধনখড়ের দাবি, ‘‘চা-চক্রে শামিল না হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর প্রশাসনিক আধিকারিকরা খারাপ নজির গড়েছেন। সংবিধান মেনে না চলার আরও এক বেদনাদায়ক দৃষ্টান্ত। রাজনৈতিক হিংসা এবং হত্যার ঘটনা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।’’

আরও পড়ুন: ফের উত্তরপ্রদেশ, ধর্ষণের পর চোখ উপড়ে, জিভ কেটে খুনের অভিযোগ

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আসবেন না, সেকথা যখন নবান্নের তরফে রাজভবনকে জানানো হয়েছিল, তার পরেও ফাঁকা চেয়ারের ছবি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা রাজ্যপালের পক্ষে আদৌ সৌজন্যমূলক কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE