Advertisement
E-Paper

ফসল নষ্ট, আত্মঘাতী চাষি

টানা বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জল জমে যাওয়া নিয়ে হা-হুতাশ চলছিলই। তারই জেরে এ বার এক চাষির আত্মহত্যার অভিযোগ উঠল বর্ধমানে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে জামালপুর থানার হরগোবিন্দপুর গ্রামের সুশান্ত রুইদাস (৪৫) কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হন। তাঁকে জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সে দিন সন্ধ্যায় সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৫ ০৩:৩৬

টানা বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জল জমে যাওয়া নিয়ে হা-হুতাশ চলছিলই। তারই জেরে এ বার এক চাষির আত্মহত্যার অভিযোগ উঠল বর্ধমানে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে জামালপুর থানার হরগোবিন্দপুর গ্রামের সুশান্ত রুইদাস (৪৫) কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হন। তাঁকে জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সে দিন সন্ধ্যায় সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সোমবার সুশান্তবাবুর ছেলে প্রসেনজিৎ অভিযোগ করেন, ‘‘বাবা ভাগচাষ করত। এ বার মহাজনের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা ধার নিয়ে ছ’বিঘা জমিতে আমন ধান ও সব্জি চাষ করেছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সব ফসল নষ্ট হয়ে যায়।’’ তাঁর দাবি, রবিবার সকালে মাঠে গিয়ে সে সব দেখেই মনমরা হয়ে পড়েন সুশান্তবাবু। তার পরে বাড়ির পাশে ধানখেতে গিয়ে কীটনাশক খান। ধার শোধ করতে না পারার আশঙ্কাতেই বাবা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রসেনজিতের দাবি। কৃষক সভার সম্পাদক আব্দার রেজ্জাক মোল্লাও বলেন, ‘‘জেলার বড় অংশের জমি জলের তলায়। সরকার যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এমন ঘটনা বাড়বে।’’
পুলিশ-প্রশাসন অবশ্য চাষে ক্ষতির জেরে আত্মহত্যার কথা মানতে চায়নি। পুলিশের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। জামালপুরের তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিকেরও বক্তব্য, ‘‘ওই ব্যক্তির নিজের জমি নেই। অন্যের জমিতে খেতমজুরের কাজ করতেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জেনেছি।’’

jamalpur farmer burdwan farmer suicide crop damaged flood damaged crop jamalpur farmer suicide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy