প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে স্কুলে ভিড় জমাতেন চাকরিপ্রার্থীরা! বেশ কয়েকটি স্কুল থেকে এমন খবর সে সময় পান তৎকালীন রিজিওনাল কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন। মঙ্গলবার এসএসসি মামলায় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে তেমনটাই জানান তিনি। শুধু তা-ই নয়, ওই নিয়োগপত্র সংক্রান্ত ‘সমস্যার’ সমাধান তিনি কী ভাবে করেছিলেন তা-ও জানান। তাঁর দাবি, সেই পদক্ষেপের জন্য প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওএসডি-র কাছে জবাবদিহিও করতে হয় তাঁকে!
ওই প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সিবিআইয়ের সাক্ষী। মেয়াদের প্যানেল উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও এই নিয়োগপত্র সংক্রান্ত সমস্যার কথা তদন্ত চলাকালীন সিবিআই-কে জানান তিনি। সেই কথাই মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিতে এসে আদালতে বলেন। তাঁর দাবি, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কয়েকটি স্কুলে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র নিয়ে যাচ্ছেন এমন খবর পেয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা ফোন করে তাঁকে জানান। সেই সব শোনার পর সন্দেহ হয় ওই আধিকারিকের। তখন তিনি সংশ্লিষ্ট স্কুল পরিদর্শককে (ডিআই) ইমেল করে ওই সব চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার আদালতে ওই আধিকারিক আরও জানান, নিয়োগ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ায় তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর ওএসডি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে তাঁর কাছে জানতে চান, কেন তাঁদের না-জানিয়ে ইমেল করেছিলেন?
আরও পড়ুন:
শুধু তা-ই নয়, চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউয়ের নথিতে ‘কারচুপি’র সন্দেহের কথাও আদালতে জানান ওই আধিকারিক। তাঁর দাবি, কিছু চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউয়ের নথি পেন্সিলে লেখা হত। আবার কিছু চাকরিপ্রার্থীর নথি লেখা হত পেনে! কেন এই বৈষম্য তা স্পষ্ট ছিল না। সন্দেহ, পেন্সিলে লেখা নথি সহজেই কারচুপি সম্ভব! আগামী বৃহস্পতিবার আবার এসএসসি মামলার পরবর্তী শুনানি।