Advertisement
E-Paper

‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে দল থেকে ইস্তফা তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া কর্তা সুপর্ণ মৈত্রর

তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের পরিচিত নাম সুপর্ণ মৈত্র তৃণমূলের মিডিয়া সেলে যোগ দেন প্রায় ১৬ মাস আগে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম-সহ সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ডের দায়িত্বভার অনেকটাই ছিল তাঁর উপর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৯ ১৫:৩৮
তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন সুপর্ণ মৈত্র। —ফাইল ছবি

তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন সুপর্ণ মৈত্র। —ফাইল ছবি

তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুপর্ণ মৈত্র। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রাক্তন ন্যাসকম কর্তা সুপর্ণ। ব্যক্তিগত কারণে তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে সুপর্ণ জানালেও ইস্তফা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। যদিও আনন্দবাজারকে সূপর্ণ মৈত্র জানিয়েছেন, নিজের পেশায় ফিরতে চান বলেই তিনি তৃণমূলের সংশ্রব ত্যাগ করতে চান।

তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের পরিচিত নাম সুপর্ণ মৈত্র তৃণমূলের মিডিয়া সেলে যোগ দেন প্রায় ১৬ মাস আগে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম-সহ সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ডের দায়িত্বভার অনেকটাই ছিল তাঁর উপর। কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী এবং সুপর্ণ মৈত্র— এই দু’জনই গত বছর দেড়েক ধরে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের দুই প্রধান স্তম্ভ ছিলেন। দীপ্তাংশু এখনও সেই কাজে থেকে গেলেও সুপর্ণ আর তৃণমূলের সঙ্গে সংযোগ রাখতে আগ্রহী নন।

কিন্তু সুপর্ণ এমন এক সময়ে ইস্তফা দিলেন, যখন লোকসভা ভোটে ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। ৩৪ থেকে দলের আসন কমে হয়েছে ২২। উল্টো দিকে বিজেপির আসন সংখ্যা ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮। এই পরিস্থিতিতে সুপর্ণ ইস্তফা দেওয়ায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই মত, সুপর্ণের ইস্তফার পিছনে এই রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ভূমিকা থাকতে পারে। তবে একটি অংশ দাবি করছে, পট পরিবর্তন আসল কারণ নয়। আসলে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বেশ কিছু নীতি বা সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিনি একমত হতে পারছিলেন না।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সামনে জয় শ্রীরাম বলায় গ্রেফতার ১০, কাল থানা ঘেরাও বিজেপির

আরও পড়ুন: মোদীর সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত, দেখে নিন কে কী মন্ত্রী হলেন

যদিও সুপর্ণ মৈত্র নিজে এক বারও সে সব কথা উচ্চারণ করেননি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তিনি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দিচ্ছেন। এ দিন আনন্দবাজারকে তিনি বলেন, ‘‘আমি তো আসলে একজন পেশাদার। আমার সেই পেশাদারি অভিজ্ঞতার সুবাদেই তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের হয়ে কাজ করেছি। আমার পক্ষে যা করা সম্ভব ছিল, আমি করেছি। এ বার আমি আবার আমার পেশার ক্ষেত্রে ফিরতে চাই। তাই সোশ্যাল মিডিয়া সেলের দায়িত্ব ছাড়লাম। আর পার্টি এবং পেশা যে হেতু এক সঙ্গে চালানো কঠিন, তাই পার্টিও ছাড়লাম।’’

TMC Social Media Resignation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy