যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে তিনি ভর্তি রয়েছেন। সেই হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে, আগের চেয়ে সুস্থ রয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়। অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাস্করের রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। মাথা ঘোরা এবং ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার সমস্যার জন্য ফিজিওথেরাপি শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, ভাস্করের রক্তচাপ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া যাবে না। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওঁর ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে আরও খানিকটা সময় লাগবে। রক্তচাপ এবং ঘুম যত ক্ষণ না স্বাভাবিক হচ্ছে, তত ক্ষণ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই থাকবেন তিনি।’’
বুধবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ভাস্করকে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। তাঁরা বুধবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন উপাচার্যকে। বেঁধে দেওয়া সেই সময়সীমার মধ্যে তাঁকে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছিল। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যাদবপুরের আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। তার মাঝেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ভাস্করকে।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, যাদবপুরের এক হাসপাতালে ভর্তি ইন্দ্রানুজের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ছয় সদস্যের মেডিক্যাল দল গঠন করা হয়েছিল। শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে তাঁকে। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, ছাড়া পাওয়ার পরে চার সপ্তাহ বাড়িতে শুয়ে বিশ্রাম নিতে হবে তাঁকে। ইন্দ্রানুজের পায়ের ক্ষত প্রতি দিন ড্রেসিং করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ছাত্রের বাবা অমিত রায় বলেন, ‘‘আগের থেকে ছেলের শরীরের অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে শনিবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। বাকি চিকিৎসা বাড়ি থেকেই হবে।’’ গত শনিবার তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলন ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই সম্মেলন ঘিরে বিক্ষোভ দেখান যাদবপুরের বামপন্থী, অতি বামপন্থী সংগঠনের সদস্যেরা। অভিযোগ, সে সময় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় আহত হন অতিবামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্য ইন্দ্রানুজ।