প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিল মামলায় এর আগে দুর্নীতির প্রসঙ্গে সরব হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এ বার এজলাসে শুনানিতে এক দল কর্মরত শিক্ষককে দেখে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে শুক্রবারও দুর্নীতি প্রসঙ্গ উঠেছে আদালতে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যাঁরা চাকরির জন্য টাকা দিতে পারেননি, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করা হয়েছে। এ দিন পার্শ্বশিক্ষক থেকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন, এমন শিক্ষকদের আইনজীবী সওয়াল করেছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী৩০ জুলাই।
এ দিন এজলাসে ওই শিক্ষকদের দেখে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘এঁরা তো কর্মরত। এঁদের কাজ পড়ানো। সেটাই মূল দায়িত্ব। চাকরি যাবে কি না, তা পরের বিষয়। এঁরা এখানে কেন?’ পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে, আর এঁরা এখানে মজা দেখছেন?’’
ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, এ দিনই তো আদালত রায় ঘোষণা করছে না। তা হলে ওই শিক্ষকেরা স্কুলে অনুপস্থিত কেন? এঁরা ছুটি না নিয়ে এসেছেন। প্রয়োজনে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত শাস্তিদানেরও হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি।
এ দিন নিয়োগের পদ্ধতি এবং বিজ্ঞপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই শিক্ষকদের আইনজীবী। জেলাভিত্তিক নিয়োগ নিয়েও সওয়াল করেন। তাঁর দাবি, এই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছিলেন সেখানে কোনও দুর্নীতির উল্লেখ ছিল না। ২০১৬ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্যানেল প্রকাশ করতে বাধ্য নয় বলেও তিনি দাবি করেন। ওই আইনজীবীর দাবি, দুর্নীতি হয়নি।
ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যদি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়, তা হলে নিয়োগকর্তার দায় থাকে। যাঁরা টাকা দিতে পারেননি, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা হয়েছে। সিবিআই তদন্ত হয়েছে, মন্ত্রী জেলে গিয়েছেন, আধিকারিকেরা জড়িত। এর পরেও বলা যায় না যে দুর্নীতি হয়নি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)