Advertisement
E-Paper

Kabir Suman: হাসপাতালের বেড থেকেই চিকিৎসক দিবসে কবীর সুমনের কুর্নিশ

অসুস্থ হয়ে তিনি এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গায়ক। সেখানকার উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে তাঁর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২১ ২০:০৫
হাসপাতাল থেকে কবীর সুমনের বার্তা। ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

হাসপাতাল থেকে কবীর সুমনের বার্তা। ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

বৃহস্পতিবার চিকিৎসক দিবস। বিশেষ এই দিনে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে জড়িত সকলকে কুর্নিশ জানালেন গায়ক কবীর সুমন। অসুস্থ হয়ে তিনি এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গায়ক। সেখানকার উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে তাঁর। বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভ করেন সুমন। সেখানে চিকিৎসকদের কাজকে সেলাম জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সেবিকাদেরও কুর্নিশ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার একটু ঠান্ডা লেগেছিল। ঢোক গিলতে গেলে লাগছিল। বুকে কোনও ব্যথা নেই, শ্বাসকষ্ট নেই। এই অবস্থায় যোগাযোগ করি ডাক্তার ঘোষের সঙ্গে। তিনি আমায় চমৎকার ভাবে বলেন, আবার সে এসেছে ফিরিয়া। তার পর তাঁরই ব্যবস্থাপনায় বাড়ির বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে রাজি হই। এ রকম অদ্ভুত অবস্থায় কোনও দিন আমি পড়িনি।”

সুমন আরও বলেন, “সোমবার ভোর থেকে আমার চিকিৎসা শুরু হয়। অসামান্য তৎপরতার সঙ্গে তাঁরা আমার চিকিৎসা শুরু করেন। মাত্র তিন দিন হয়েছে। এখন অনেক সুস্থ বোধ করছি।” তাঁর এই সুস্থ বোধ করার নেপথ্যে যে চিকিৎসক এবং নার্সদের যে অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে, তা-ও জানান সুমন। একই সঙ্গে তাঁদের ভূমিকাকে কুর্নিশ জানিয়ে সুমন বলেন, “ এই যে সুস্থ বোধ করছি এর মূলে রয়েছে আমার চিকিৎসক বন্ধুরা। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যাঁরা ব্যস্ত আছেন, রাতের পর রাত জাগছেন। মলিনতা নেই, হাসি ছাড়া কিছু নেই তাঁদের মুখে। এবং সস্নেহে তাঁরা এই কাজ করছেন। এই স্নেহের জায়গা বড়ই চমৎকার।”

বামফ্রন্ট সরকারের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো কী ছিল সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন সুমন। তাঁর কথায়, “সে সময় মানুষ সরকারি হাসপাতালে যেতে ভয় পেতেন। এখন মানুষ যেচে সরকারি হাসপাতালে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে কৃতিত্ব রাখছে তা অতুলনীয়। এর মূল্যায়ন সভ্য মানুষ কবে করবেন তা জানি না।”

সুমন জানান, ফ্রান্স, তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি, হল্যান্ডের সেরা হাসপাতাল দেখেছেন তিনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলো তার থেকে অনেক এগিয়ে। তাঁর কথায়, “এ রাজ্যের হাসপাতালগুলো সবচেয়ে যে বিষয়টিতে এগিয়ে তা হল মানবিক স্পর্শ। বাইরে দেশগুলোতে আন্তরিক ভাবে রোগীদের দেখাশোনা করলেও তার মধ্যে একটা পেশার আস্তরণ রয়েছে। কিন্তু এখানে রয়েছে একটা আত্মীয়তার জায়গা। এই পরিবর্তন আনতে পেরেছে পশ্চিমবঙ্গর সরকার।”

শেষে সুমন বলেন, “যাই হোক আমি সেরে উঠছি। যখন পুরো সুর লাগাতে পারব, তখন পুরো সেরে উঠব। আজই গুনগুন করে গাইছিলাম।”

Doctors kabir suman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy