দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে আগামী সপ্তাহের শেষেই ফের পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন বিজেপির নতুন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরই গত মঙ্গলবার অমিত শাহের সঙ্গে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেটি ছিল পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে সামগ্রিক বৈঠক। এ বারে তিনি আসছেন পশ্চিমবঙ্গে দলের সাংগঠনিক শক্তি খতিয়ে দেখতে।
কৈলাস আজ বলেন, ‘‘এ মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে রাজ্যে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব। শহরাঞ্চলে আমাদের সংগঠন অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী হলেও গ্রামে খুবই দুর্বল। সেটি মজবুত করাই আমার লক্ষ্য।’’
পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিয়েই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, সিকিম এবং আন্দামান— এই পাঁচ রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে হাওড়ার শরৎ সদনে বৈঠক করেছেন মঙ্গলবার। সেই বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্বকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে সংগঠন পোক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন অমিত। তার পরের দিন বুধবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠকে কৈলাস সাফ বলে দিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টা দলের কাজে সময় দিতে হবে। যাঁরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাঁদের পদ আঁকড়ে থাকার দরকার নেই। দলের প্রতি সুবিচার করে তাঁরা যেন পদ ছেড়ে দেন। গোষ্ঠী বিবাদে আক্রান্ত বিজেপি-তে কৈলাসের এই বার্তাকে সকলেই নিজের মতো
করে ব্যাখ্যা করছেন। প্রত্যেকেই নিজের নিজের বিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কৈলাসের ওই বক্তব্য প্রয়োগের আশা করছেন।
ওই বৈঠকেই কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেছেন, সংগঠন মজবুত করতে হলে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব ঘোচাতে হবে। ছোট
ছোট বিষয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়তে নিষেধ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কিছু দিন আগে পশ্চিমবঙ্গ
বিজেপি-র দায়িত্ব পেয়েছেন। আজ, শুক্রবার তাঁর কলকাতায় এসে দলের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করার
কথা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy