প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার। —ফাইল চিত্র।
কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে ইতিমধ্যে খালাস পেয়েছেন তাঁরা। কেউ বেকসুর, কারও জেল খাটার মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে। সোমবার সেই আমিন ইসলাম আলি, ভোলানাথ নস্কর, ইমানুল হক এবং আমিনুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হল কলকাতার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে।
এ দিন দুপুর থেকেই ওই চার জনের জনা কয়েক আত্মীয়, বন্ধু এবং পড়শি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের গেটে জটলা করেছিলেন। প্রায় ঘণ্টা ছয়েক অপেক্ষার পরে, তাঁদের তলব করা হয়। প্রয়োজনীয় নথিপত্রে সই-সাবুদ পর্ব মিটলে সংশোধনাগারের ভিতরেই ডেকে নেওয়া হয় একটি এসইউভি। বাইরে অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম এবং উৎসুক মানুষের ভিড় এড়িয়ে সেই গাড়ি চার জনকে নিয়ে দ্রুতগতিতে মিলিয়ে যায় কলকাতার রাস্তায়।
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই মুক্তি পাওয়া চার জনের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি জেল কর্তৃপক্ষ। জেলের এক পদস্থ কর্তা জানান, মুক্তি পাওয়ার পরে তারা ‘পুরনো পেশায়’ ফিরতে চায় বলে জানিয়ে গিয়েছে। তবে সম্ভবত আপাতত গ্রামে ফেরার প্রশ্ন নেই।
হাই কোর্ট এই চার জনকে মুক্তি দেওয়ায় আগেই আপত্তি জানিয়েছিলেন কামদুনি-কাণ্ডের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা সর্দার। এ দিন মৌসুমী বলেন, ‘‘শুধু আমি নই, পুরো কামদুনি এই রায়ে হতবাক। আমরা সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছি।’’ একই স্বর টুম্পার গলায়, ‘‘মেয়েটার মুখটা চোখের সামনে ভাসছে। আমরা ফের পথে নামব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy