স্বাগত: কৃষ্ণনগরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ
দশ বছরের লড়াইয়ের সুফল পেতে চলেছেন রানাঘাটের অটোমোবাইল ব্যবসায়ীরা।
জেলা সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। তার মধ্যে রয়েছে ওই ব্যবসায়ীদের জমিতে তৈরি কর্মতীর্থও।
ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট মিশন রেলগেট থেকে চূর্ণী সেতু পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’ধারে ছোট বড় মিলিয়ে ১৫০টি অটোমোবাইলের দোকান রয়েছে। জমির মাপ করে দেখা যায়, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ওই দোকানগুলি ভাঙা পড়বে। ফলে, দোকানিদের রুটি রুজিতে টান পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। মালিকেরা মিলিত হয়ে রানাঘাট অটোমোবাইলস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন। ২০০৯ সাল থেকে তাদের নিজস্ব ঠিকানার জন্য আবেদন জানিয়ে এসেছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। একটি কমপ্লেক্স গড়তে জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে মিশন রেলগেটের কাছে কিছু জমিও কেনা হয়।
সংগঠন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বাণীকুমার রায়ের কাছে কর্মতীর্থ করে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিল জেলা পরিষদ। বলা হয়েছিল, জমি দিলে কর্মতীর্থ তৈরি করে দেবে পরিষদ। এখন ওই কর্মতীর্থের জন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সেখানে দোতালা ভবন হবে। থাকবে ১২০টি দোকান। পরে ভবনটি চার তলা করা যেতে পারে।
সংগঠনের সম্পাদক অমলেশ দত্ত বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তার কারণে দোকান না থাকলে খাব কী? তাই জেলা পরিষদের কাছে আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম, আমাদের দোকান করে দেওয়া হোক। পরিষদ কিছু শর্ত আমাদের কাছে রেখেছিল। আমরা সেই মতো এগিয়েছি। অবশেষে প্রায় দশ বছরের লড়াই সফল হতে চলেছে। আমাদের জন্য কর্মতীর্থ তৈরি হতে চলেছে।’’
জেলায় এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি যে ওই কর্মতীর্থের শিলান্যাস করবেন সে কথা জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সচিব সৌমেন দত্ত-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy