পরীক্ষার্থী থেকে রোগী, রেলগেটের ফাঁসে আটকে থাকতে হয়নি এমন প্রায় কেউই নেই কাটোয়ায়। সকালের ব্যস্ত সময়ে কখনও ১০-১৫ মিনিট, কখনও ঘণ্টা কেটে যায় রেলগেটে। তবে রাজ্য এগিয়ে এলেই দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধান সম্ভব, পরিদর্শনে এসে জানালেন পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম।
বৃহস্পতিবার ওই কর্তা ঈশাক খান বলেন, ‘‘প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই রেলের অনুমোদন পেয়েছে। তবে রেল ও রাজ্য যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প হবে। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকাই বেশি।’’ কাটোয়া পুরসভার দাবি, একাধিক বার রেল দফতর, প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও চিঠি চালাচালি হয়েছে। তবে লাভ হয়নি। বছর দেড়েক আগে রেলের তরফে উড়ালপুল তৈরির অনুমোদন নিশ্চিতকরণের চিঠি এসেছিল বিধায়ককের কাছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় ‘কমবাইন্ড জিএডি’ (জেনারেল অ্যারেঞ্জমেন্ট ড্রয়িং) প্রস্তুতকরণের কাজ চলছে বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এ দিন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রেলের তরফে পরিদর্শন হয়েছিল। তবে উড়ালপুল তৈরিতে স্টেশনবাজার এলাকার বেশ কিছু দোকান সরাতে হবে বলে জানিয়েছিল রেল। আমরাও উড়ালপুল তৈরিতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি।’’
কাটোয়া শহরের অত্যন্ত জরুরি অঙ্গ এই রেলগেট। বাসস্ট্যান্ডে নেমে শহরে ঢুকতে গেলে গেট পার হতে হয়। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত শতাধিক বার গেট ওঠানো-নামানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকালের দিকে বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে শুরু করে উত্তরা সিনেমা মোড় পর্যন্ত সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সাইকেল, ভ্যান, মোটরবাইক। তাড়াহুড়ো করে রেলগেট পেরোতে গিয়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও লেগেই থাকে। কখনও রিকশার ধাক্কায় সাইকেল থেকে পড়ে যান আরোহী, কখনও সার দিয়ে দাঁড়ানো বাইকের পিছনে গাড়ির ধাক্কা লাগতেই শুরু হয় বচসা। সম্প্রতি রেলগেট পেরোনোর সময় একটি আসবাববোঝাই গাড়ির ধাক্কায় ওভারহেড তার ছিঁড়ে বিপত্তি বাধে। তবে উড়ালপুল হলে এই সমস্যা মিটবে, দাবি শহরবাসীর।