Advertisement
E-Paper

পাহাড় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রিজিজুর

ধস বিধ্বস্ত পাহাড়ে মিরিক থেকে কালিম্পঙের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে দু’দিন ধরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া অনেক জনপদ দেখেছেন। বৃহস্পতিবার ফেরার সময় কালিম্পং থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছতে একাধিক জায়গায় যানজটে কোথাও আধঘণ্টা, কোথাও একঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে। পাহাড়ের এই পরিস্থিতি নিয়ে তাই রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।

সৌমিত্র কুণ্ডু

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৫ ০২:৫৩
কালিম্পঙে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজুর (বাঁ দিকে) সঙ্গে দার্জিলিঙের সাংসদ এস এস অহলুওয়ালিয়া ও জিটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গ। নিজস্ব চিত্র।

কালিম্পঙে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজুর (বাঁ দিকে) সঙ্গে দার্জিলিঙের সাংসদ এস এস অহলুওয়ালিয়া ও জিটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গ। নিজস্ব চিত্র।

ধস বিধ্বস্ত পাহাড়ে মিরিক থেকে কালিম্পঙের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে দু’দিন ধরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া অনেক জনপদ দেখেছেন। বৃহস্পতিবার ফেরার সময় কালিম্পং থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছতে একাধিক জায়গায় যানজটে কোথাও আধঘণ্টা, কোথাও একঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে। পাহাড়ের এই পরিস্থিতি নিয়ে তাই রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। আপতকালীন পরিস্থিতিতে ত্রাণ, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করা যে জরুরি সে কথা জানিয়ে দেন। বিশেষ করে পাহাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তিনি কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন জানিয়েছেন।
তিনি পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে শীঘ্রই মন্ত্রীদের প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা ভাবা হয়েছে। আধিকারিকদের দলটি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করবেন। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন কিরেন রিজিজু। ধসে সিকিম যাতায়াতের রাস্তা শ্বেতিঝোরা-সহ একাধিক জায়গায় আটকে পড়েছে। মিরিকের রাস্তা বন্ধ। রোহিনী, কাশির্য়াং, জোড়বাংলো, তিস্তাবাজার হয়ে সিকিমে যাতায়াত করছে গাড়িগুলি। তাতে যানজটে রাস্তায় ঘন্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে। এ দিন রোহিনী, কার্শিয়াং-সহ বিভিন্ন জায়গায় যানজটে আটকে পড়ে মন্ত্রীর কনভয়। হেলিকপ্টারে কালিম্পং থেকে বাগডোগরায় বায়ুসেনার হেলিপ্যাডে নামার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার জন্য তা বাতিল করা হয়। সড়ক পথে বেলা দু’েটার সময় কালিম্পং থেকে রওনা দেন দার্জিলিঙের সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া ও রিজিজু। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁরা এসে পৌঁছন বাগডোগরায়। সাড়ে ছটা থেকে রোহিনীতে যানজটে এক ঘণ্টারও বেশি আটকে থাকতে হয়। মন্ত্রী বলেন, ‘‘পরিস্থিতি খারাপ। ধস বিধ্বস্ত অবস্থায় পাহাড়ে যাতায়াতের তিনটি রাস্তার মধ্যে দুটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাতে অনেককে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফিরে গিয়ে পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। ভবিষতে পাহাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য, রাস্তাগুলি যাতে যথাযথ ভাবে দেখভাল করা হয় সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এ দিন দিনভর ওই রাস্তা যানজটে আটকে ছিল।

এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে দিনভর ছিলেন অহলুওয়ালিয়াও। রিজিজু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি এবং সাংসদ দু’জনেই পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি দেখেছি। মৃতের পরিবারের সঙ্গে, অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের প্রতি সমস্তরকম সহানুভূতি রয়েছে। কেন্দ্র, রাজ্য সকলে মিলেই কাজ করা হচ্ছে। জিটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গেও তিনি বলেছি। এক সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পরিস্থতির খোঁজ নিয়েছি।’’

saumitra kundu kiren rijiju kiren rijiju anxiety kiren rijiju on landslide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy