কিশোর দত্ত। —ফাইল চিত্র।
আচমকাই ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। এক মাসের উপর পদ শূন্য থাকার পর, শনিবার নতুন এজি নিয়োগ করল রাজ্য সরকার। একটা সময়ে এই দায়িত্ব সামলানো কিশোর দত্তকেই নতুন এজি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই কিশোরকে সরিয়েই ওই পদে আনা হয়েছিল সৌমেন্দ্রনাথকে। এ বার সৌমেন্দ্রনাথের ইস্তফার পর ফিরিয়ে আনা হল কিশোরকে। শনিবার তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতেও গিয়েছিলেন।
অ্যাডভোকেট জেনারেল কে হবেন সে ব্যাপারে রাজ্য সরকার নামের সুপারিশ পাঠায় রাজভবনে। তার পর রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাজ্যপাল তাঁকে নিয়োগ করেন। শনিবার রাজ্যপাল নবান্নের প্রস্তাবে সিলমোহর দিলেন। সৌমেন্দ্রনাথ বিদেশ থেকে ইস্তফা পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপালকেই। তাঁর ইস্তফার নেপথ্যে কী কারণ ছিল তা রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেননি বলে তিনি জানিয়েছিলেন। ইস্তফাপত্র পাঠানোর দিন আনন্দবাজার অনলাইনকে আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘‘আমি বিদেশে রয়েছি। শুধু রাজ্যপালকেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছি।’’ কিন্তু, আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত? প্রবীণ আইনজীবী বলেছিলেন, ‘‘আমি ইউকে-তে আছি। কোনও কারণ ছাড়াই আমি ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছি। চিঠিতে কোনও কারণ উল্লেখ করিনি।’’
দু’বছর আগে কেন কিশোরকে সরানো হয়েছিল সে ব্যাপারেও নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায় না। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন এই কিশোর। ভোটের পর প্রথম সেই মামলাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তার পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন এই আইনজীবী। তবে আইনজ্ঞদের অনেকের ধারণা, এই দুই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশের কারণেই সরতে হয়েছিল কিশোরকে।
গত ৭ নভেম্বর রাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়কে। নতুন পিপি হন দেবাশিস রায়। তার পর থেকেই এজি পদে বদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সৌমেন্দ্রনাথের ইস্তফার পরেই সেই জল্পনা সত্যি হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy