প্রতীকী ছবি।
আশি বছরের বেশি বয়স্ক, অসুস্থ এবং শয্যাশায়ীদের এ বার বাড়িতে গিয়ে টিকা দেবে কলকাতা পুরসভা। ষাটোর্ধ্ব অসুস্থ ও শয্যাশায়ীরাও এই সুবিধা পাবেন। শনিবার এই ঘোষণা করেছেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, টিকা দেওয়ার পরে আধ ঘণ্টার যে পর্যবেক্ষণ, সেটি কী ভাবে হবে? পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, টিকা দেওয়ার পর সেই বাড়িতেই আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করবেন পুর-চিকিৎসক।
স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, টিকা প্রদানের শুরুর সময় থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দিকে নজর দেওয়ার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। সেই জন্যই টিকা প্রদান প্রক্রিয়ার শেষ পর্বে আধ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই সময়ে টিকা নেওয়া কারও কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরুর জন্য বিশেষ কয়েকটি ইঞ্জেকশন ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত রাখতে হয়।
এ দিন ফিরহাদ জানান, শহরের অনেক বয়স্ক নাগরিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারছেন না। ‘টক-টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে বারবার ফিরহাদকে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তার পরেই ‘স্পেশ্যাল কেস’ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। তিনি আরও জানিয়েছেন, কোনও বাড়িতে এমন বয়স্ক থাকলে, তাঁদের আধার কার্ড নিয়ে নিকটবর্তী পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। তার পরে সুবিধা মতো পুরসভার তরফে বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। তবে যে বাড়িতে পুরকর্মীরা যাবেন, সেখানে অন্য সদস্যদের আগে থেকে করোনার টিকা নেওয়া থাকতে হবে। আর ষাটোর্ধ্ব অসুস্থ বা শয্যাশায়ীদের ক্ষেত্রে প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রতিটি জেলার মতো কলকাতা পুরসভাকেও টিকা সরবরাহ করার দায়িত্ব শুধু স্বাস্থ্য দফতরের। স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে পুরসভাগুলি কোথায়, কবে টিকা প্রদান কেন্দ্র করবে কিংবা কত সংখ্যক দেবে তা তারাই সিদ্ধান্ত নেয়। তাই বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়ার বিষয়টিও একান্তই পুরসভার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে পর্যবেক্ষকদের অভিমত, সামনেই পুরসভা ভোট রয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে টিকা প্রদানে জোর দিচ্ছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy