প্রতীকী ছবি
ঠিক দু’বছর আগেকার পরিস্থিতিরই পুনরাবৃত্তি ঘটল কলকাতা হাইকোর্টে!
দু’সপ্তাহ গরমের ছুটি পরে হাইকোর্ট যে-দিন খুলল, সে-দিনই এক সপ্তাহের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিল আইনজীবীদের সংগঠন! কারণ? গা-জ্বালানো গরমে আইনজীবীদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
হাইকোর্টের আইনজীবী সংগঠন বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘অধিকাংশ সদস্য কর্মবিরতির পক্ষে মত দেওয়ায় এই প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, আগামী সাত দিন আবহাওয়া কেমন থাকে, তা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে ১২ জুন তাঁরা আবার বৈঠকে বসবেন।
দু’সপ্তাহের গ্রীষ্মাবকাশের পরে সোমবারেই হাইকোর্ট খুলেছে। কোর্ট বসার আধ ঘণ্টার মধ্যেই, বেলা সাড়ে ১০টায় আইনজীবীদের সংগঠন জরুরি সভা ডেকে জানায়, দুঃসহ গরমে কোট-গাউন পরে সওয়াল করা সম্ভব নয়। তাই আজ, মঙ্গলবার থেকে ১২ জুন পর্যন্ত আইনজীবীরা কোনও মামলায় যোগ দেবেন না।
হাইকোর্ট সূত্রের খবর, প্রায় আড়াই লক্ষ মামলা জমে আছে। প্রশ্ন উঠছে, গা-জ্বালানো গরমে চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ, ট্রাফিক পুলিশ কাজ করতে পারলে আইনজীবীরা পারবেন না কেন? যাঁরা বিচারের আশায় বসে আছেন, তাঁদের কী হবে? এ দিন কৌঁসুলিদের কর্মবিরতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিচারপ্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের বক্তব্য, বিচার পেতে বছরের পর বছর গড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ টানা ছুটির পরেও গরমের কারণ দেখিয়ে আইনজীবীরা কাজ বন্ধের রাস্তা নিলেন। কোনও সংগঠন দায়িত্বশীল হলে এটা করতে পারে না। বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভারী গাউন পরে আদালতে থাকা কষ্টকর। বিচারপতিদের এজলাস, নিজস্ব চেম্বার, কোর্ট অফিসারদের বসার জায়গাতেও এসি আছে। কিন্তু আইনজীবীদের বসার জায়গায় নেই। তাঁরা অধিকাংশ সময় আদালত কক্ষেও থাকেন না।’’ সংগঠনের প্রস্তাব হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে, কোনও পক্ষের কৌঁসুলির অনুপস্থিতিতে যেন একতরফা রায় দেওয়া না-হয়। দু’পক্ষের কৌঁসুলিরা হাজির না-থাকলে মামলা যেন খারিজ করা না-হয়। হাইকোর্ট জানায়, আদালত খোলা থাকবে। দু’পক্ষের আইনজীবীরা থাকলে শুনানিও হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy