পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের একটি হোটেলে রাহুল লাল নামে এক যুবককে খুনের অভিযোগে ধৃত শক্তিকান্ত বেহেরা এবং সন্তোষ বেহেরাকে শনাক্ত করেছেন মোট পাঁচ জন। তাঁদের মধ্যে তিন জন ওই হোটেলের কর্মী। বাকি দু’জন হোটেলের বাইরের লোক। বৃহস্পতিবার দুই ধৃতকে জেল হেফাজত থেকে পুলিশি হেফাজতে পাঠায় কলকাতার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজেএম) আদালত।
গত ২৪ অক্টোবর ওই হোটেলের একটি ঘরের বক্স খাটের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ২৬ বছরের রাহুলের পচাগলা দেহ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। তদন্তে নেমে ওড়িশার কটক থেকে শক্তিকান্ত ও সন্তোষকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। ট্রানজ়িট রিমান্ডে তাদের কলকাতায় এনে সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে মামলার সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী ধৃতদের টিআই প্যারেডের আর্জি জানিয়ে তাদের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করেছিলেন। সেই আর্জি মঞ্জুর করেন বিচারক।
এ দিন জেল হেফাজত শেষে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শক্তিকান্ত ও সন্তোষকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের জেল হেফাজত থেকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানিয়ে অরূপ বলেন, ‘‘জেল হেফাজতে টিআই প্যারেডে তিন হোটেলকর্মী-সহ পাঁচ জন দুই ধৃতকে শনাক্ত করেছেন। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজেও দুই অভিযুক্তকে দেখা গিয়েছে। গামছা, বিছানার চাদর, না দড়ি, কী দিয়ে রাহুলের গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তা জানা দরকার। খুনের আসল কারণ তদন্ত করে দেখতে হবে।’’ বিচারক ধৃতদের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)