E-Paper

নেপালের অপহৃত নাগরিককে উদ্ধার সল্টলেকে, ধৃত ২ 

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সরোজ খানাল নামে নেপালের এক নাগরিক বাগুইআটি থানায় অভিযোগ করেন যে, তাঁর ভাই শক্তি খানাল গত ৩ জুন কলকাতায় এসেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ০৯:০২
An image of the arrest

—প্রতীকী চিত্র।

নেপালের এক নাগরিককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে তাঁকে উদ্ধার করল বিধাননগর পুলিশ। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম দেবজ্যোতি দাস ওরফে দেব (২৫) এবং আকাশ মণ্ডল। দেব সল্টলেকের নয়াপট্টির বাসিন্দা। আকাশের বাড়ি নদিয়া জেলায়। বুধবার ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক ধৃতদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সরোজ খানাল নামে নেপালের এক নাগরিক বাগুইআটি থানায় অভিযোগ করেন যে, তাঁর ভাই শক্তি খানাল গত ৩ জুন কলকাতায় এসেছিলেন। এর পরে ইমেলে শক্তি বাড়িতে জানিয়েছিলেন, তিনি চিনার পার্ক এলাকার একটি অতিথিশালায় উঠেছেন এবং সমস্যায় পড়েছেন। গত ৬ জুন অভিযোগকারীর মোবাইলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ কল আসে। তাতেই তাঁকে জানানো হয়, তাঁর ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। এ জন্য সরোজের থেকে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণও দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে মঙ্গলবার রাতে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ এবং বাগুইআটি থানাকে নিয়ে একটি বিশেষ দল গড়া হয়। প্রথমেই শুরু হয় অপহৃতকে কোথায় রাখা হয়েছে, তার খোঁজ। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে, মুক্তিপণ চাওয়ার সময়ে টাকা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি অ্যাকাউন্টের কথা বলা হয়েছিল। সেই অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে বিধাননগর উত্তর থানা এলাকায় একটি জায়গা চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, ওই হোয়াটসঅ্যাপ কলটি কোথা থেকে করা হয়েছিল, তা-ও চিহ্নিত করা হয়। দেখা যায়, সেই জায়গাটিও ওই থানা এলাকাতেই। এর ভিত্তিতেই সেখানে হানা দিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধরা হয় দু’জনকে।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শক্তি এর আগেও কলকাতায় এসেছিলেন এবং দেবের সঙ্গে তাঁর পূর্ব পরিচিতি ছিল। দেব তাঁকে পর্তুগালের ভিসা করে দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু কেন এই অপহরণ, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kidnap arrest Tourist

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy