Advertisement
E-Paper

লেক টাউনের এক আবাসনেই ডেঙ্গি ২৫ জনের

বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবাসনের গেটের বাইরেই জমে থাকে জঞ্জাল। তা নিয়মিত সাফাই হয় না। সেখানেই জল জমে জন্মাচ্ছে ডেঙ্গির মশা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৪
লেক টাউনের ওই আবাসনের সামনে পড়ে আবর্জনা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

লেক টাউনের ওই আবাসনের সামনে পড়ে আবর্জনা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

থানায় পুলিশকর্মীদের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিকে বুধবার ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে জানিয়েছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভা। কিন্তু রাত পোহাতেই জানা গেল, ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে লেক টাউনের বেশ কিছু আবাসনেও। তার মধ্যে একটি আবাসনেই ২৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

তাঁদের কেউ সদ্য বাড়ি ফিরেছেন, কেউ এখনও হাসপাতালে ভর্তি। ভিআইপি রোডের ওই আবাসনের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তাঁরা আতঙ্কে ভুগছেন। অধিকাংশ আবাসিকই নিতান্ত প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না। স্কুল খুললেও ছেলেমেয়েদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবাসনের গেটের বাইরেই জমে থাকে জঞ্জাল। তা নিয়মিত সাফাই হয় না। সেখানেই জল জমে জন্মাচ্ছে ডেঙ্গির মশা। শুধু আবাসিকেরাই নন, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন আবাসনের ছ’জন নিরাপত্তাকর্মীও। তাঁদের কয়েক জন এখনও কাজে যোগ দিতে পারেননি।

আবাসিকদের কমিটির সম্পাদক বিনয় ধানুকা জানান, দুর্গাপুজোর সময়ে বাসিন্দাদের ডেঙ্গি শুরু হয়। প্রথমে তাঁরাও বিষয়টিকে বিচ্ছিন্ন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু একের পর এক বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। তিনি বলেন, ‘‘আবাসিকদের পাশাপাশি নিরাপত্তাকর্মীদেরও ডেঙ্গি ধরা পড়ে। আমরা আবাসন চত্বরে জল-জঞ্জাল জমতে দিই না। কিন্তু আমাদের গেটের ঠিক বাইরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে জঞ্জাল এনে ফেলা হয়। পুরসভাকে বারবার জানানোর পরেও এটা বন্ধ করা যায়নি।’’

আবাসনের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা জৈন গত সপ্তাহে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দিন কয়েক পার হওয়ার পরেও জ্বর না কমায় রক্ত পরীক্ষা করাতেই ডেঙ্গি ধরা পড়ে তাঁর। পরের দিনই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল তাঁর ছেলে, দশম শ্রেণির নমন জৈন। তারও ডেঙ্গি ধরা পড়ে। দু’জনকেই নাগেরবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছেলেকে নিয়ে সদ্য বাড়ি ফিরেছেন মা। কিন্তু দুর্বলতা না কাটায় নমনকে স্কুলে পাঠানো যাচ্ছে না। আবাসনের নিরাপত্তাকর্মী, দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা পায়েল গুপ্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনিও সদ্য কাজে যোগ দিয়েছেন। পায়েল বলেন, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম, আমাদের এলাকা থেকেই ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। কিন্তু পরে দেখলাম, এখান থেকেই ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে।’’

দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই আবাসনের সামনে এখন নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই হচ্ছে। ওখানে যাতে জঞ্জাল ফেলা না হয়, তার জন্য পদক্ষেপ করা হবে।

Dengue ডেঙ্গি Lake Town
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy