এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তিন-তিনটি ডেথ সার্টিফিকেট! প্রথম এবং দ্বিতীয়টি একই চিকিৎসকের। তৃতীয়টি দমদম পুর হাসপাতালের। বৃহস্পতিবার পুর হাসপাতালের ওই ডেথ সার্টিফিকেটের ভিত্তিতেই মহিলার দেহ ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বুধবার মৃত্যু হয় দমদম ক্যান্টনমেন্টের মন্দির রোডের বাসিন্দা মধুমিতা ঘোষের (৫২)। মধুমিতাদেবী ছাড়া ওই বাড়িতে ছিলেন কেয়ারটেকার এবং এক সর্ব ক্ষণের পরিচারিকা। এ দিন কেয়ারটেকার জানান, প্রতিদিন বারান্দার আলো নিভিয়ে ঘুমোতে যেতেন মধুমিতাদেবী। বুধবার সেগুলি জ্বলছে দেখে ভোর পাঁচটা নাগাদ তিনি প্রৌঢ়ার ঘরে ঢুকে দেখেন, ওই মহিলার শ্বাস পড়ছে না। তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এর পরে বেলা ১১টা নাগাদ পারিবারিক চিকিৎসক বাড়িতে এসে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ লিখে দেন। সেখানে মৃত্যুর সময় লেখা হয়, রাত আড়াইটে। আর মৃত্যুর কারণ হৃদ্রোগ।
খবর পেয়ে আসেন মৃতার পাঁচ বান্ধবী। বাড়ির দখল নিয়ে এক প্রোমোটারের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছিল ওই প্রৌঢ়ার। সেই প্রোমোটার নথি জাল করে মধুমিতাদেবীর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। মৃতার কেয়ারটেকার জানান, নিম্ন আদালতে মামলায় হেরে যাওয়ায় গত সোমবার ওই প্রৌঢ়াকে বাড়ি খালি করতে বলে দমদম থানার পুলিশ। এ নিয়ে মৃত্যুর এক দিন আগে ব্যারাকপুর কমিশনারেটে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ওই মহিলা। তাতে লেখেন, আদালতের রায়ে কোথাও বলা নেই যে, এখনই বাড়ি খালি করতে হবে।