প্রতিদিনের মতোই যন্ত্রচালিত গাড়ি নিয়ে রাস্তায় জমে থাকা ধুলো সাফাই করছিলেন টোল প্লাজার তিন অস্থায়ী কর্মী। আচমকাই দূরপাল্লার একটি বাস হুড়মুড়িয়ে চলে এলে তার ধাক্কায় রাস্তার ধারে ছিটকে পড়েন তাঁরা। কিছুদূর গিয়ে বাসটি ফেলে চম্পট দেয় চালক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তিন কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বালির নিবেদিতা সেতু টোল প্লাজায়। আহতদের নাম সুশান্ত দেবনাথ, জগদীশ বসু ও তপন দে সরকার।
পুলিশ ও টোলপ্লাজা সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ বালি হল্ট স্টেশনের কাছেই সেতুর রাস্তায় ধুলো সাফাই করছিলেন তিন অস্থায়ী কর্মী। তখনই পিছন থেকে তীব্র গতিতে ছুটে আসছিল আরামবাগ-কলকাতা রুটের একটি বেসরকারি বাস। ওই তিন কর্মী রাস্তার একেবারে ধারে ডিভাইডার ঘেঁষে থাকলেও কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাসটি ধাক্কা মারে তাঁদের। বাসের ধাক্কায় ধুলো সাফ করার গাড়িটিও উল্টে যায়। বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়েন ওই গাড়ির চালক জগদীশবাবু। বাকি দু’জনও রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে যান। এর পরে বাসটি গতি বাড়িয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেলেও যাত্রীদের চেঁচামেচিতে তা থামিয়ে দিয়ে চম্পট দেয় চালক।
নিবেদিতা সেতুর সিসি ক্যামেরায় ওই দুর্ঘটনার ছবি দেখতে পান টোল প্লাজার কন্ট্রোল রুমে বসে থাকা কর্মীরা। পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীরাও ফোন করে টোল আধিকারিকদের খবর দেন। এর পরেই আধিকারিকেরা এসে নিজেদের অ্যাম্বুল্যান্সে ওই তিন জনকে কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তিন জনেরই মুখ, মাথা, পায়ে, কোমড়ে ও বুকে গুরুতর চোট লেগেছে। তপনবাবুকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও জগদীশবাবুকে উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুশান্তবাবুকে কামারহাটি থেকে পরে মানিকতলা ইএসআই-এ স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনার পরে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ বাসটিকে আটক করেছে। নিবেদিতা সেতু টোল প্লাজার চিফ অপারেশন অফিসার প্রবীন বসন্ত বলেন, ‘‘ঘটনার পরেই তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওঁদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ টোল কর্তৃপক্ষই বহন করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy