Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

মহানগরের রাত পথে ফের নিগৃহীত পুলিশকর্মী

এক অফিসারের অভিযোগ, ৬ জন পুলিশকর্মীকে হেনস্থা করা হয়েছে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার হো চি মিন সরণিতে মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে। এই ঘটনায় চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৫৫
Share: Save:

শহরে ফের নিগৃহীত পুলিশ৷ রাতে ‘নো এন্ট্রি জোনে’ ভিআইপি সুরক্ষার নিয়ম ভেঙে গাড়ি নিয়ে যেতে বাধা দেওয়ায় এমন ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ। এক অফিসারের অভিযোগ, ৬ জন পুলিশকর্মীকে হেনস্থা করা হয়েছে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার হো চি মিন সরণিতে মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে। এই ঘটনায় চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম পুনিত ঝাওয়ার, রবিকুমার সোনপাল, আকাশ জায়সবাল এবং কর্ণ খাটরি। প্রথম তিন জন দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা, কর্ণ মুম্বইতে থাকেন। রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। শনিবারের এই ঘটনা নিয়ে চলতি মাসে শহরের পাঁচ জায়গায় কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকর্মীর নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা ঘটল। গত সপ্তাহেই লেক থানা এলাকায় অটোচালকের হাতে প্রহৃত হন পুলিশের এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। এর আগে বন্দর এলাকায় পরপর দু’টি ঘটনায় নিগ্রহের শিকার হন পুলিশকর্মীরা।

কী ঘটেছিল ওই রাতে?

পুলিশ সূত্রের খবর, হো চি মিন সরণিতে মার্কিন কনস্যুলেট থাকায় নিরাপত্তার কারণে লিটল রাসেল স্ট্রিট এবং ক্যামাক স্ট্রিট, দুই প্রান্ত থেকেই রাত দশটার পরে ওই রাস্তায় গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পুলিশের বিশেষ অনুমতি লাগে। ওই এলাকায় পুলিশের একটি স্থায়ী পিকেট আছে, যার নেতৃত্বে থাকেন এক জন ইনস্পেক্টর। শনিবার রাতে সেখানে কর্তব্যে ছিলেন কলকাতা পুলিশের র‍্যাফের এক অফিসার। সঙ্গে ছিলেন বাহিনীর অন্য সদস্যেরাও। শেক্সপিয়র সরণি থানায় লিখিত ভাবে ওই অফিসার অভিযোগ করেছেন, রাত একটার কিছু পড়ে একটি ছোট গাড়ি আইন আমান্য করে লিটল রাসেল স্ট্রিটের দিক থেকে হো চি মিন সরণিতে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, চালক গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত ক্যামাক স্ট্রিটের দিকে চলে যান। কিন্তু সেখানে গার্ডরেল এবং চেক-পোস্ট থাকায় তাঁদের গাড়ি বাধা পায়। তদন্তকারীরা জানান, গাড়িটি ইউ-টার্ন করে ফের লিটল রাসেল স্ট্রিটের দিকে এগোতে শুরু করলে মাঝপথেই তা থামিয়ে দেয় পুলিশ। কেন তাদের গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে বচসা শুরু করেন পুনিত এবং রবি। পরে তাঁরা কর্তব্যরত পুলিশদের মারধরও করেন। পুলিশের আরও অভিযোগ, গাড়িতে দুই মহিলাও ছিলেন। স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হচ্ছে দেখে তাঁরা ফোন করে আকাশ এবং কর্ণকেও ডাকেন। তদন্তকারীরা জানান, শেক্সপিয়র সরণির বাহিনী পৌঁছলে ওই চার যুবক তাঁদেরও মারধর করেন। গুরুতর জখম হন ৬ জন পুলিশকর্মী। লালবাজার জানিয়েছে, খবর পেয়ে টালিগঞ্জ থানার অতিরিক্ত ওসি গেলে হেনস্থা করা হয় তাঁকেও। শেষে বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে চার জনকে আটক করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE