প্রতীকী ছবি।
উত্তর ব্যারাকপুরের বিদায়ী মহিলা কাউন্সিলর চম্পা দাসকে গুলি করার ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করল নোয়াপাড়া থানা। তাদের মধ্যে রকি দাস নামে এক যুবকের বাড়ি উত্তর ব্যারাকপুরের মায়াপল্লিতে। চম্পাও সেখানকার বাসিন্দা। বাকি তিন ধৃত— তপন বিশ্বাস, সুজিত (শুভ) সূত্রধর এবং সুরজিৎ (টুবাই) বসুর বাড়ি জগদ্দলে। তারা সুপারি কিলার বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। সোমবার নোয়াপাড়া ও জগদ্দলের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ তাদের ধরে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিভিন্ন থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে তাদের লক্ষ্য ওই মহিলা কাউন্সিলরই ছিলেন কি না, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। ব্যারাকপুরের ডিসি (সাউথ) অজয় ঠাকুর বলেন, “ওই মহিলা কাউন্সিলর চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁর সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলা যায়নি। ধৃতেরা পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ফলে তাদের লক্ষ্য কারা ছিলেন, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।” তবে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ঘটনার পিছনে রয়েছে সিন্ডিকেটের গোলমাল।
চম্পা উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর। নির্দল হিসেবে জিতলেও পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। মায়াপল্লিতে তাঁর বাড়ির পাশেই দলীয় কার্যালয়। রবিবার রাতে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে একটি বাইক থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি ছোড়ে। তখন চম্পার ছেলে বাড়ির দরজা খুলছিল। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয় গুলি লাগে চম্পার পায়ে। পুলিশের বক্তব্য, চম্পাই লক্ষ্য থাকলে বাড়ি ফেরার রাস্তাতেই দুষ্কৃতীরা গুলি করত। তা না করে কেন তারা বাড়ি ঢোকা পর্যন্ত অপেক্ষা করল, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
পুলিশ জেনেছে, গুলি চালানোর পরিকল্পনা ছিল রকির। তার জন্য সে বাকি তিন জনকে ভাড়া করেছিল। ঘটনাস্থলে একটি বাইকে রকিকে দেখা গিয়েছিল। গুলি চালানোর পরে একটি বাইকে দুই দুষ্কৃতী পালিয়ে গেলেও রকি ঘটনাস্থলেই ছিল। চম্পা দাবি করেছেন, তিনি ঘটনাস্থলে রকি এবং তার এক সঙ্গীকে দেখেছেন। মোট ছ’জনের নামে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। রকির অন্য সঙ্গীদের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy