শহরে বেপরোয়া লরির দৌরাত্ম্যে লাগাম নেই! ফলে একের পর এক দুর্ঘটনাও ঘটে চলেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার গাছতলা মোড়ে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় জখম হলেন চার জন। সাতসকালে এই দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন পথচারীরা। ওই ঘটনার পরে লরিটির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম ইফতিয়ার মহম্মদ শেখ। দুর্ঘটনার সময়ে তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় আহতদের নাম ঝুমা মুখোপাধ্যায়, বাসচালক ছোটন চৌধুরী, বরুণ নাড়ু ও ছবি নাড়ু। তবে তাঁদের সকলকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ সুভাষগ্রামের দিক থেকে কলকাতামুখী ওই বালি-বোঝাই লরিটি আসছিল বেপরোয়া গতিতে। এনএসসি বসু রোডে লরিটি প্রথমে একটি গাড়ি, একটি বেসরকারি বাস ও তার পরে একটি আনাজ-বোঝাই ভ্যানকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। পুলিশ জানিয়েছে, লরির ধাক্কায় গাড়িতে বসে থাকা ঝুমাদেবী আহত হন। এর পরে একটি বেসরকারি বাসকে ধাক্কা মারলে আহত হন বাসচালক ছোটন। এর পরে ওই ভ্যানটির দুই আরোহীও জখম হন। খবর পেয়ে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ লরিটিকে ধাওয়া করে। পরে টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর কাছে আটক করা হয় সেটিকে। আহতদের এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর নয় বলেই হাসপাতাল সূত্রের খবর। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে লরিটি শুধু রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকাতেই নয়, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার মহামায়াতলাতেও এক মহিলাকে ধাক্কা মেরেছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তার পরেই সেটি বেপরোয়া গতিতে টালিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। এ দিনের দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক বলেন, ‘‘সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি, লরিটি প্রবল গতিতে এসে আনাজের ভ্যানের পিছনে ধাক্কা মারল। এর পরে সেটি না থেমেই চলে যায়।’’