—প্রতীকী চিত্র।
শহরে মিলল ‘মাইকোপ্লাজ়মা নিউমোনি’ ব্যাক্টিরিয়ার অস্তিত্ব। তাতে আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দশ বছরের এক বালিকা। তবে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলবলেই দাবি চিকিৎসকদের।
গত বছরের নভেম্বরে চিনে অজানা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য শিশু হাসপাতালে ভর্তিহয়েছিল। বেশ কিছু জনের মৃত্যুও ঘটেছিল। একই রকম ভাবে আমেরিকাতেও ওই নিউমোনিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। শিশু থেকে কিশোর-কিশোরীরাতাতে আক্রান্ত হয়েছিল। প্রথম দিকে ওই অসুস্থতাকে অজানা নিউমোনিয়া বা হোয়াইট লাং সিনড্রোম বলা হলেও পরবর্তী সময়েদেখা যায়, তার নেপথ্যে রয়েছে মাইকোপ্লাজ়মা নিউমোনি নামে এক ধরনের ব্যাক্টিরিয়া। পার্ক সার্কাসের যে শিশু হাসপাতালে ওই বালিকা চিকিৎসাধীন রয়েছে,সেখানকার অধ্যক্ষ-চিকিৎসক জয়দেব রায় বলেন, ‘‘ওই ব্যাক্টিরিয়া নতুন নয়। আবার, চিন থেকে এখানে এসেছে, সেটাও বলা ঠিক হবে না। সমস্ত রোগীর রেসপিরেটরি প্যানেল পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না বলেহয়তো সহজে এর অস্তিত্ব জানা যায় না। তাই এর খোঁজ মিলেছে বলে আতঙ্কিত নয়, সতর্ক থাকতে হবে।’’
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লি এমস্ নিউমোনিয়াআক্রান্ত প্রায় ৬০০ শিশুর উপরে একটি সমীক্ষা করে। তাতে সাত জনের শরীরে মাইকোপ্লাজ়মা নিউমোনি ব্যাক্টিরিয়ার খোঁজ মেলে।তবে এর কারণে হওয়া নিউমোনিয়া প্রথমে সহজে বোঝা যায় না। পরে সেটি ধরা পড়ে। যেমন, বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা দশ বছরের ওই বালিকা তীব্র জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ছিল। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় ২৫ ডিসেম্বর তাকে পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথে ভর্তি করা হয়। বালিকার চিকিৎসক জয়দেব জানাচ্ছেন, সিটি স্ক্যানে ধরা পড়ে, সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। কী কারণে ফুসফুসের অনেকটা অংশ জুড়ে নিউমোনিয়া ছড়িয়েছে, তা জানতে রেসপিরেটরি প্যানেল পরীক্ষা করা হয়। তখন দেখা যায়, ওই বালিকা মাইকোপ্লাজ়মা নিউমোনি ব্যাক্টিরিয়ায় আক্রান্ত।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রথমে ওই বালিকাকে অক্সিজেন দেওয়া হলেও এখন খুলে দেওয়া হয়েছে। জয়দেব বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে। সুতরাং ওই ব্যাক্টিরিয়ায় আক্রান্ত হলেই চিন বা আমেরিকার মতো মৃত্যু ঘটবে, তেমন ভাবার কারণ নেই। তার থেকে বরংসকলে সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy