টাকার অভাবে মেঘালয় ঘুরতে যাওয়া বাতিল হয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে তুমুল ঝামেলা হয়েছিল স্বামী-স্ত্রীর। সেই ঘটনার পরেই বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। বুধবার দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বেলেঘাটায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম শ্বেতা প্রসাদ সাউ (২৯)। পরিবারের লোকেরা তাঁকে নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে বধূকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এর পর নীলরতন সরকার হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে নারকেলডাঙা থানায় খবর দেওয়া। পুলিশ গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বেতার স্বামী রোহিতকুমার সাউ জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গুড়িপাড়া রোডের দোকান খুলেছিলেন তিনি। এর পর বেলা ১১টায় তিনি বাড়িতে খেতে যান। সেই সময়েই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। মেঘালয় ঘুরতে যাওয়া বাতিল হয়ে যাওয়া নিয়েই ঝগড়া হয়েছিল দু’জনের মধ্যে। এর পরেই নিজেকে বন্দি করে নেন শ্বেতা। দীর্ঘ ক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারের লোকেরা ডাকাডাকি শুরু করেন। তার পরেও কোনও সাড়া না মেলায় রোহিত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন, সিলিং থেকে স্ত্রীর দেহ ঝুলছে।
পরিবারের লোকেদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০১৫ সালে শ্বেতা আর রোহিতের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই মেয়েও রয়েছে। কিন্তু গত দু’বছর ধরে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ চলছিল। সাম্প্রতিক বিবাদ বাধে মেঘালয় ঘুরতে যাওয়া নিয়ে। মৃতার বাবার অভিযোগ, মেয়ের পুত্রসন্তান না হওয়ার জন্য তাঁকে ‘নির্যাতন’ করা হত। স্বেতার পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
যদিও এই ঘটনায় পুলিশের কাছে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। নীলরতন সরকার হাসপাতালের মর্গে মৃতার ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।