Advertisement
০৩ মে ২০২৪

Firing near Indian Museum: জাদুঘর চত্বরে এলোপাথাড়ি গুলি, নিহত এক জওয়ান, আটক আততায়ী

ভরসন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটের অদূরে জাদুঘরের কাছে চলল গুলি। সিআইএসএফ জওয়ানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভারতীয় জাদুঘরের কাছে চলল গুলি

ভারতীয় জাদুঘরের কাছে চলল গুলি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২২ ১৯:১৪
Share: Save:

কলকাতায় পার্ক স্ট্রিটের অদূরে জাদুঘরে চলল গুলি। জাদুঘর চত্বরে সিআইএসএফ (কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী) ব্যারাক লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, কর্তব্যরত সহকর্মীদের নিশানা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান গুলি চালিয়েছেন। ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর। ওই সূত্র মারফতই জানা গিয়েছে, গুলি চালনার ঘটনায় আর এক জন আহত হয়েছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে ট্রমা বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় দেড় ঘণ্টার অপারেশন শেষে আটক করা হয় হামলাকারীকে। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কিট স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের উল্টো দিকে ভারতীয় জাদুঘর চত্বরে এই গুলি চলে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রাত ৮টা নাগাদ ওই হামলাকারীকে নিরস্ত্র করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। হামলাকারীর নাম অক্ষয়কুমার মিশ্র। তিনি ওড়িশার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একে-৪৭ বন্দুক থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে। সহকর্মী জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। সূত্রের দাবি, ঘটনায় দু’জন আহত হলে তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে। নিহতের নাম রঞ্জিত সরঙ্গি। তিনিও ওড়িশার বাসিন্দা। আহত জওয়ানের নাম সুবীর ঘোষ।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও আসেন। আসেন জয়েন্ট সিপি (অপরাধ) মুরলীধর শর্মাও।বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেখানে। এর পরেই বিশাল কমান্ডো বাহিনী ঢোকে জাদুঘরের ভিতরে। নিয়ে আসা হয় অ্যাম্বুল্যান্সও। সিপি বলেন, ‘‘এক জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এক জন আহত। অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি চলেছে। কমান্ডো এনে অপারেশন চালানো হয়েছে। হামলাকারীকে বুঝিয়ে আত্মসমর্পণ করানো হয়েছে। আটক করার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ব্যারাকের ভিতরেই ছিলেন হামলাকারী। যাতে উদ্বিগ্ন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। কারণ, হামলার সময় ব্যারাকে শতাধিক জওয়ান ছিলেন। পুলিশ সূত্র জানান, অভিযুক্ত কনস্টেবল যাতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, সেই চেষ্টাই করা হয়েছে প্রথম থেকে। শেষমেশ দেড় ঘণ্টা পর ওই হামলাকারী জওয়ানকে আটক করে গ্রেফতার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE