দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র
মত্ত অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে এক পথচারীকে পিষে দিলেন এক মহিলা চালক। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের উপর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পরমা আইল্যান্ডের কাছে। পার্ক সার্কাসের দিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে চিংড়িঘাটার দিকে যাচ্ছিল একটি বিদেশি ব্র্যান্ডের সেডান।
রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ৪৮ বছরের হরিমোহন রায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই পথচারীকে ধাক্কা মারেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।মৃতের বাড়ি ট্যাংরায়।
ঘটনাস্থলেই ঘাতক গাড়ি এবং তার চালককে আটক করে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। চালক বছর বাইশের অদিতি আগরওয়াল নারকেলডাঙ্গা মেন রোডের বাসিন্দা। তিনি পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার।
আরও পডু়ন: ‘ব্যক্তিগত’ ছবি-ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল ব্যবসায়ীকে, ধৃত মা-ছেলে
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই তরুণী রবিবার ভোর রাত পর্যন্ত পার্ক স্ট্রিট এলাকার একটি ডিস্কোথেকে ছিলেন। সেখানে মদ্যপানও করেন। মেডিক্যাল টেস্টেও তাঁর রক্তে অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছে। মত্ত অব্স্থায় গাড়ি চালাতে গিয়েই বিপত্তি, অনুমান পুলিশের। তাঁকে গ্রেফতার করেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।
আরও পডু়ন: এই শহরে থাকলেই দেওয়া হবে দশ হাজার ডলার, মিলবে জমি আর বাড়িও
অন্য দিকে এ দিন ভোর বেলা দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেলারে পেছন থেকে এসে ধাক্কা মারে একটি এসইউভি। গাড়িতে চালক ছাড়াও চার জন ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই আসছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থেকে। পেশায় শিক্ষক ওই চারজন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। ঘটলাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়ির চালক বনফুল ভুঁইয়ার (৪৭)। হেস্টিংস থানার পুলিশ আহতদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটি গতিতে আসছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, চালক কোনও ভাবে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তিনি সামনে থাকা ট্রেলারটি দেখতেই পাননি। ধাক্কার অভিঘাতে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ির সামনে। গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে বের করতে হয় যাত্রী এবং চালককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy