দোষী সাব্যস্ত হয়ে সংশোধনাগারে যাওয়ার সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর। আর সেখান থেকে মুক্তির সময়ে বয়স ৫২! জীবনের ৩৩ বছর সংশোধনাগারে কাটানো এমন মানুষও নিজের মতো বাঁচার চেষ্টা করতে পারেন। তৈরি করতে পারেন সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার নজির। শুক্রবার, শিক্ষক দিবসে এমনই নজির তৈরি হল হরিদেবপুর এলাকার বাসিন্দা সুব্রত সরকারকে ঘিরে। প্রশাসনিক সহায়তায় ও পশ্চিমবঙ্গ সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় এ দিন থেকেই রাসবিহারী-বেহালা রুটে অটো চালানো শুরু করলেন তিনি।
এ দিন অটোয় স্টার্ট দিয়ে সুব্রত বললেন, ‘‘এক সময়ে ধরেই নিয়েছিলাম, সব শেষ। আমারছুটি হয়ে যাচ্ছে শুনেও আনন্দ ছিল না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমিও পারব।’’
গত বছরের ২৫ জুলাই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান সুব্রত। সংশোধন প্রশাসন বিভাগের ‘ডিস্ট্রিক্ট প্রবেশন কাম আফটার কেয়ার অফিসার’ মনোজকুমার রায় বললেন, ‘‘সমাজে ফিরে এসে মানিয়ে নিতে পারার সম্ভাবনা এবং সব রকমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কাজ করতে হয়। সুব্রত সংশোধনাগার থেকে মুক্তির পরে কিছু দিন হোটেলে কাজ করেছেন। গাড়ি কিনে চালাতে চান বলায় আমরা চেষ্টা করেছি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)