E-Paper

নাবালিকাকে গণধর্ষণ মামলায় অতিথিশালার মালিক গ্রেফতার

অনুরাগকে এর আগে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানা বেআইনি ভাবে কল সেন্টার চালাতে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। আদালতের নির্দেশে ওই মামলা থেকেই তাকে গণধর্ষণের মামলায় হেফাজতে নিয়েছেন রবীন্দ্র সরোবর থানার তদন্তকারীরা।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:১৬
তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার।

তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার। —প্রতীকী চিত্র।

রবীন্দ্র সরোবর এলাকার একটি অতিথিশালায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের মামলায় এ বার ওই অতিথিশালার মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ষড়যন্ত্র করে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম অনুরাগ মণ্ডল। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ।

অনুরাগকে এর আগে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানা বেআইনি ভাবে কল সেন্টার চালাতে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। আদালতের নির্দেশে ওই মামলা থেকেই তাকে গণধর্ষণের মামলায় হেফাজতে নিয়েছেন রবীন্দ্র সরোবর থানার তদন্তকারীরা। তার বিরুদ্ধে নতুন করে পকসো আইনের একটি ধারাতেও অভিযোগ আনা হতে পারে পুলিশের তরফে। এই মামলাতেই পুলিশ আগে যে চার্জশিট পেশ করেছিল, তাতেঅনুরাগের নাম ছিল বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে রবীন্দ্র সরোবর থানায় এক নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তাতে জানানো হয়, গত ডিসেম্বর মাসে ওই নাবালিকাকে রবীন্দ্র সরোবর এলাকার একটি অতিথিশালায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। সেই মামলায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। আটক করা হয় দুই নাবালককে। মামলা রুজু হওয়ার দু’মাসের মধ্যে গত জুনে আরিয়ান মিশ্র এবং ঋষি আগারওয়াল নামে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। পরে অতিথিশালায় নাবালিকাকে গণধর্ষণের মামলায় ওই দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আলিপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালত। তা হলে এত দিন পরে অতিথিশালার মালিককে গ্রেফতার করা হল কেন?

পুলিশ জানিয়েছে, ওই অতিথিশালায় কোনও আবাসিক এলে তাঁর নাম লিপিবদ্ধ করা হত না। এমনকি, সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকলেও সেগুলি কাজ করত না বলে অভিযোগ। এ ছাড়া, অতিথিশালায় নানা ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম চলত, যেগুলি আড়াল করার চেষ্টা করেছিল অনুরাগ। সেই অভিযোগেই সাইবার থানা তাকে গ্রেফতার করেছিল। তার অতিথিশালায় বসেই বেআইনি কল সেন্টার চালানো হচ্ছিল।

এক তদন্তকারী জানিয়েছেন, নাবালিকাকে গণধর্ষণের মামলায় অনুরাগ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিল, পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা না করে। এমনকি, কোনও রকম নথি ছাড়াই লোকজনকে ঘর ভাড়া দিয়ে দিত সে। মনে করা হচ্ছে, সাময়িক লাভের আশাতেই অনুরাগ ওই কাজ করত। ধৃতকে জেরা করে আপাতত সে দিনের গোটা ঘটনা সম্পর্কে আরও কিছু জানার চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

rabindra sarobar Kolkata Police

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy