রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটি থানা এলাকার জগৎপুরে। মৃতের নাম ভোলা হালদার (৩৫)। প্রাথমিক তদন্তের পরে যে সূত্র পুলিশ পেয়েছে, তাতে উঠে এসেছে, স্ত্রীর দ্বারা আক্রান্ত হন ভোলা। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না ওই মহিলার। তবে এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, তিনি ওই গৃহবধূর পরিচিত। একই সঙ্গে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত কিনা, সেই খোঁজও চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দরে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করতেন ভোলা। ওই দম্পতি বিধাননগর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের জগৎপুরের চড়কতলায় কয়েক মাস ধরে ভাড়া থাকছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, এ দিন দুপুরে বাড়ির একতলা থেকে পোড়া গন্ধ পেয়েছিলেন বাড়িওয়ালা। সন্দেহ হওয়ায় তিনি একতলায় থাকা ভাড়াটেকে একাধিক বার ডাকেন। তখন ভোলার স্ত্রী বেরিয়ে এসে জানান, তাঁর স্বামী বাড়িতে নেই। কিন্তু ওই পোড়া গন্ধের উৎস জানতে না পেরে এবং ভোলা বাড়িতে নেই শুনে সন্দেহ হয় বাড়িওয়ালার। তিনি বিষয়টি জানান প্রতিবেশীদের। ওই বাড়ির কাছেই একটি পুজো হচ্ছিল। ঘটনাটি শুনে সেখান থেকে লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরা ভোলার স্ত্রীকে বহু বার ডেকেও সাড়া পাননি। তখন খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দেখে, ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ভোলার দেহ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের অনুমান, ধারালো কোনও অস্ত্রের আঘাতে ভোলার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ভোলার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুরো ঘটনাটি স্পষ্ট হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন সকালে ভোলা ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুনেছিলেন তাঁরা। পরে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে পুরো ঘটনা জানতে পারেন। খবর পেয়ে দুপুরে ওই বাড়িতে আসেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি ঝুঙ্কু মণ্ডল। বিধাননগরের ডিসি (বিমানবন্দর) ঐশ্বর্য সাগর জানান, সব দিক খোলা রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)