—প্রতীকী চিত্র।
হলুদ ট্যাক্সি এবং ক্যাবের সরকারি অ্যাপ ‘যাত্রী সাথী’-র পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়ে গেলেও ট্যাক্সিচালক সংগঠনগুলির মতামত না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। হাওড়া, শিয়ালদহ ও সাঁতরাগাছির মতো রেলস্টেশন ছাড়াও বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে ওই অ্যাপের মাধ্যমে ট্যাক্সি ভাড়া করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বেশ কিছু সমস্যার কারণে ট্যাক্সিচালকদের একাংশ অ্যাপটি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সমস্যা মেটাতে হলুদ ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্প্রতি সল্টলেকে বৈঠক করেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সচিব রাজীব কুমার এবং রাজ্য সরকারের ট্র্যাফিক বিভাগের আইজি সুকেশ জৈন।
বিভিন্ন বেসরকারি অ্যাপের চড়া হারে কমিশন কেটে নেওয়ার প্রবণতার বিপরীতে সরকারি অ্যাপ তৈরির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও বেশ কিছু সমস্যার কথা উঠে এসেছে ওই বৈঠকে। যথেষ্ট সংখ্যায় যাত্রী না পেলে চালকেরা অ্যাপ নিয়ে আগ্রহী হবেন না বলে এ দিন জানায় প্রায় সব সংগঠনই। অ্যাপটিকে নিরন্তর উন্নত করার চেষ্টা করা হবে বলে তথ্যপ্রযুক্তি দফতর সূত্রের খবর।
এ দিন বৈঠকের পরে এআইটিইউসি-র ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘সব সমস্যা এবং অভিযোগ নথিভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছি।’’ ‘অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বেসরকারি অ্যাপগুলি যথেচ্ছ ভাড়া কমিয়ে যাত্রী টেনে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ জরুরি।’’ ‘প্রোগ্রেসিভ ট্যাক্সি মেন্স ইউনিয়ন’-এর সাধারণ সম্পাদক শম্ভুনাথ দে বলেন, ‘‘অ্যাপের বহুল প্রচারের উদ্যোগ নিতে হবে। যাত্রী না পেলে চালকদের ধরে রাখা যাবে না। ব্যর্থ হবে অ্যাপ।’’ তথ্যপ্রযুক্তি এবং পুলিশের কর্তারা অ্যাপের বহুল প্রচারের জন্য চালক সংগঠনগুলির সহায়তা চেয়েছেন বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy