E-Paper

নতুন পদ্ধতিতে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন

রেডিয়েশন সারা শরীরে দেওয়া হয়, যা টোটাল বডি ইররেডিয়েশন নামে পরিচিত। এ ভাবে রেডিয়েশন দেওয়ার ফলে বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:২৬
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রক্তের কর্কট রোগ (ক্যানসার) রিফ্রাক্টরি টি সেল এ এল এল (অ্যাকিউট লিম্ফোসাইটিক লিউকিমিয়া)-এর চিকিৎসায় সফল অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করলেন শহরের চিকিৎসকেরা। সাধারণত অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে রোগীর শরীরের রোগগ্রস্ত অস্থিমজ্জাকে রেডিয়েশন ও ওষুধ দিয়ে ধ্বংস করা হয়। এর পরে দাতার সুস্থ অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয় গ্রহীতার শরীরে।

তবে, রেডিয়েশন সারা শরীরে দেওয়া হয়, যা টোটাল বডি ইররেডিয়েশন নামে পরিচিত। এ ভাবে রেডিয়েশন দেওয়ার ফলে বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অর্থাৎ, এতে রোগীর শরীরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুব বেশি হয়। তাই এ ক্ষেত্রে সারা শরীরে রেডিয়েশন না দিয়ে কর্কট রোগের কোষকে লক্ষ্য (টার্গেট সেল) করে অস্থিমজ্জা ও লসিকা গ্রন্থিতে রেডিয়েশন দিয়ে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করেছেন কর্কট রোগের চিকিৎসক সায়ন পাল। একে বলা হয় টোটাল ম্যারো লিম্ফয়েড ইররেডিয়েশন (টিএমএলআই)। চিকিৎসকদের মতে, এর ফলে শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়।

আইআইটি-র প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের শরীরে সম্প্রতি টিএমএলআই পদ্ধতিতে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করেন সায়ন-সহ হেমাটো-অঙ্কোলজিস্ট রজত ভট্টাচার্য, চিকিৎসক নাজিবা করিম খন্দকার ও মেডিক্যাল ফিজ়িসিস্ট বিপ্লব সরকার। সায়নের কথায়, ‘‘বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে নতুন এই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছিল। পুরনো পদ্ধতিতে চিকিৎসায় হয়তো এই রোগীকে প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ার সময়ে বাঁচানো যেত না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

treatment Bone Marrow Replacement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy