ভোরবেলায় দুই ব্যক্তির মধ্যে মারপিটের জেরে এক জনের মৃত্যু হল। অপর ব্যক্তির দুই চোখেই গুরুতর আঘাত লেগেছে। বুধবার দক্ষিণ দমদম পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের প্রমোদনগরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গোকুল মণ্ডল (৪৩)। আহত ব্যক্তির নাম প্রদীপ সরকার (৪১)। তাঁকে মধ্যমগ্রামের একটি চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। গোলমাল চলাকালীনই প্রদীপের দু’চোখে আঘাত লাগে। অন্য দিকে, আহত অবস্থায় গোকুলকে প্রথমে দমদম পুর হাসপাতালে, পরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পরে তিনি মারা যান। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে নিজের ঘরের বাইরে বসে ছিলেন গোকুল। সে সময়ে প্রদীপ ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কোনও কারণে দু’জনের মধ্যে হঠাৎই ধস্তাধস্তি, মারপিট শুরু হয়ে যায়। সে সময়ে স্থানীয়েরা কেউ কেউ দু’জনকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ইতিমধ্যে গোকুল প্রদীপকে মাটিতে ফেলে তাঁর চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেন বলে অভিযোগ। তার জেরে প্রদীপের দুই চোখে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়, রক্ত ঝরতে থাকে এবং চোখ দু’টি ঠিকরে বেরিয়ে আসার উপক্রম হয়। এর পরে গোকুলই প্রদীপকে নিজের ঘরে ঢুকিয়ে নেন। তখন স্থানীয়েরা জানলা ভেঙে ঘরে ঢুকে প্রদীপকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। গোকুলকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। পুলিশই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। যদিও গোকুলের মৃত্যুর কারণ রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ধস্তাধস্তির সময়ে কোনও ভাবে আঘাত লেগে থাকতে পারে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে গোকুলের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হবে পুলিশ।
স্থানীয়দের একাংশ জানান, গোকুল একাই থাকতেন। তাঁদের দাবি, গোকুলের ঘরের কাছে বাচ্চারা খেললে গরম জল ছুড়ে দেওয়া, লোককে কামড়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে অতীতে। অন্য দিকে, ঘটনার সময়ে প্রদীপ প্রকৃতিস্থ ছিলেন কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)