E-Paper

শান দিতে গিয়ে গলা ফুঁড়ে দিল ভাঙা পাথর, মৃত্যু

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন দোকানের মালিক। এ দিন তিনি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৫ ০৯:২৫
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

শান দেওয়ার পাথর ছিটকে লেগে মঙ্গলবার দুপুরে তালতলা থানা এলাকার স্মিথ লেনে এক ব্যক্তির মৃত্যু হল। তাঁর নাম শৈলেন্দ্র শর্মা (৫০)। বাড়ি বিহারের সমস্তিপুরে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বহু বছর ধরে বিভিন্ন দোকানে ছুরি-কাঁচি শান দেওয়ার কাজ করতেন শৈলেন্দ্র। বছরকয়েক ধরে তিনি চাঁদ আখতার নামে স্থানীয় এক জনের দোকানে কাজ করছিলেন। এ দিন দুপুরে তিনি চাঁদের দোকানে বসে ছুরিতে শান দিচ্ছিলেন। শান দেওয়ার পাথরের মোটরচালিত চাকা তীব্র গতিতে ঘোরার সময়ে আচমকা ভেঙে যায় বলে খবর। তীব্র গতিতে ঘুরতে থাকা বেলেপাথরের ওই চাকা থেকে পাথরের টুকরো ছিটকে গিয়ে শৈলেন্দ্রর গলায় ঢুকে যায়। আর একটি পাথরের টুকরো তাঁর চোয়ালে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন দোকানের মালিক। এ দিন তিনি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। শৈলেন্দ্রকে দ্রুত নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা মৃতবলে ঘোষণা করেন। পরে তালতলা থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে দেহ ময়না তদন্তে পাঠায়। শৈলেন্দ্রর ভাইও স্থানীয় অন্য একটি দোকানে একই কাজ করেন। এলাকার এক যুবক জুনেইদ ফৌজদার জানান, শৈলেন্দ্র নির্বিবাদী মানুষ ছিলেন। এ দিন সকালেও তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।উৎসবের সময়ে রান্না করে পরিচিতদের খাওয়াতেন। আচমকা এমন দুর্ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা কেউই ভেবে পাচ্ছেন না। ওই ঘটনায় স্মিথ লেনের ব্যবসায়ীরা এ দিন দোকান বন্ধ রাখেন।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, বকরি ইদ এগিয়ে আসায় ওই এলাকার বিভিন্ন দোকানে ছুরি-কাঁচি শান দেওয়ার কাজের চাপ বেড়েছে। সকলেই কম-বেশি ব্যস্ত। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে কাজ করার ফলে কোনও কারণে তীব্র গরম হয়ে পাথরটি ফেটে যায় বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজনের একাংশ। মোটরচালিত চাকা তীব্র গতিতে ঘুরতে থাকায় ভেঙে যাওয়া পাথর কার্যত বুলেটের মতো ছিটকে গিয়ে গলায় ঢুকে যায়। তাতেই মৃত্যু হয় শৈলেন্দ্রর।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Taltala

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy