Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Financial Fraud

এফবিআই থেকে চিঠি পেয়ে শহরে ধৃত প্রতারক 

পুলিশি নজর এড়াতে কলকাতার পাশাপাশি গোয়া ও হরিয়ানায় বসেও প্রতারণার কাজ করত সে। মূলত আমেরিকার নাগরিকদেরই নিশানা করত দানিশ। ধৃতের কাছ থেকে একাধিক আমেরিকান নাগরিকের তথ্য মিলেছে।

An image of Arrest

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৪১
Share: Save:

‘ফেডারাল বুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ (এফবিআই)-এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল লালবাজারের সাইবার শাখা। ধৃতের নাম দানিশ আহমেদ। তার কাছ থেকে নগদ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ও একাধিক বিদেশি দামি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৯ অগস্ট এফবিআইয়ের তরফে লালবাজারের সাইবার শাখায় একটি চিঠি আসে। সেই চিঠিতে জানানো হয়, একাধিক আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে আমেরিকার পাঁচ জন নাগরিকের সঙ্গে মোটা অঙ্কের প্রতারণা করা হয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে এই প্রতারণা করা হয়েছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। এফবিআইয়ের চিঠি পাওয়ার পরেই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে জালিয়াতি ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারায় মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে নেমে সোমবার রাতে বেনিয়াপুকুরের সার্কাস অ্যাভিনিউ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় বছর ২৯-এর দানিশকে। ধৃতের থেকে ১৩টি দামি ঘড়ি-সহ একাধিক বিদেশি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত যুবক নিজেকে অস্টিন পার্কার বলে পরিচয় দিয়ে একটি অ্যান্টি-ভাইরাস পরিষেবা দেওয়া সংস্থার নাম করে ফোন করত। বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিত সে। পুলিশি নজর এড়াতে কলকাতার পাশাপাশি গোয়া ও হরিয়ানায় বসেও প্রতারণার কাজ করত সে। মূলত আমেরিকার নাগরিকদেরই নিশানা করত দানিশ। ধৃতের কাছ থেকে একাধিক আমেরিকান নাগরিকের তথ্য মিলেছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘আইপি ঠিকানার সূত্র ধরে তদন্তে নেমে দানিশ ও অস্টিন পার্কারের নাম মেলে। পরবর্তী কালে অস্টিন পার্কার নামটি ভুয়ো বলে জানা যায়। এর পরে একাধিক তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ধরা হয় দানিশকে।’’ ক্রিপ্টো কারেন্সি প্রতারণাতেও দানিশের নাম থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। এমনকি, একাধিক জন এই চক্রে যুক্ত বলে মনে করছে তারা। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে এ বিষয়ে তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তবে এফবিআইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতায় গ্রেফতারি এই প্রথম নয়। গত জানুয়ারিতেও বেনিয়াপুকুর এলাকা থেকে প্রায় ৭১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে সিজান আলি হায়দর নামে এক জনকে ধরে কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখা। দানিশের সঙ্গে সিজানের যোগ আছে কি না, তার উত্তরও পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE