E-Paper

ভরসন্ধ্যায় ভাঙল বাড়ির বারান্দা, উদ্ধার ৭ জনকে

পুনম জানান, ঘটনার সময়ে তেতলার বারান্দায় কেউ ছিলেন না। ওই তলে থাকা সবাই ছিলেন ঘরে। ফলে, তাঁরা কোনও রকমে বেঁচে যান। কিন্তু বারান্দা ভেঙে পড়ায় কেউ আর নীচে নেমে আসতে পারেননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪ ০৬:০৭
বিপত্তি: একটি তেতলা বাড়ির ভেঙে পড় অংশে চলছে উদ্ধার কাজ।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এন্টালি থানা এলাকার নফর কোলে রোডে।

বিপত্তি: একটি তেতলা বাড়ির ভেঙে পড় অংশে চলছে উদ্ধার কাজ।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এন্টালি থানা এলাকার নফর কোলে রোডে। — নিজস্ব চিত্র।

একটি তেতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে আতঙ্ক ছড়াল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালি থানা এলাকার নফর কোলে রোডে। তবে, এই ঘটনায় কেউ
হতাহত হননি। দুর্ঘটনার ফলে আটকে পড়া ওই বাড়ির সাত সদস্যকেই দমকল এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকাজে হাত লাগায় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, ওই বাড়িটির একতলায় কয়েকটি দোকান রয়েছে। একটি পরিবারও সেখানে থাকে। দোতলা এবং তেতলাতেও লোকজন থাকেন। তবে এ দিন ঘটনার সময়ে দোতলায় কেউ ছিলেন না। তেতলায় একটি পরিবারের ছ’জন এবং অন্য একটি পরিবারের এক জন সদস্য ছিলেন।

ওই বাড়ির একতলার বাসিন্দা পুনম মাহাতো বলেন, ‘‘সাতটা নাগাদ হঠাৎই হুড়মুড় করে কিছু ভেঙে পড়ার আওয়াজ শুনি। বাইরে বেরিয়ে দেখি, বাড়ির তেতলা এবং দোতলার বারান্দার খানিকটা অংশ ভেঙে পড়েছে। আমরা কোনও রকমে বেরিয়ে এলেও তেতলার বাসিন্দারা কেউ বেরোতে পারেননি।’’

পুনম জানান, ঘটনার সময়ে তেতলার বারান্দায় কেউ ছিলেন না। ওই তলে থাকা সবাই ছিলেন ঘরে। ফলে, তাঁরা কোনও রকমে বেঁচে যান। কিন্তু বারান্দা ভেঙে পড়ায় কেউ আর নীচে নেমে আসতে পারেননি। প্রায় এক ঘণ্টা মতো তাঁরা আটকে ছিলেন।

স্থানীয় এক যুবক সুরজিৎ ঘোষ জানান, তাঁরা দ্রুত দমকলে খবর দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই দু’টি ইঞ্জিন আসে। দমকলকর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তেতলায় আটকে পড়া লোকজনকে দমকলের মই দিয়ে একতলায় নামিয়ে আনা হয়।

জানা গিয়েছে, ৩/১ নফর কোলে রোডের ওই তেতলা বাড়িটিকে ইতিমধ্যেই ‘বিপজ্জনক’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও সেখানে কী ভাবে দোকান চলছিল, একাধিক পরিবারই বা কী ভাবে থাকছিলেন, সে সব খতিয়ে দেখছে পুরসভা। আপাতত ওই বাড়ির বাসিন্দাদের এলাকারই একটি বাড়িতে রাখা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kolkata

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy