বিগত বছরগুলির তুলনায় চলতি বছরে বিধাননগরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল। শারদোৎসবের প্রাক্কালে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ডেঙ্গি প্রতিরোধে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তার পরেও মৃত্যু এড়ানো গেল না। রবিবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সল্টলেকের তিন নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা এক কিশোরীর।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃত্যুর শংসাপত্রে ‘ডেঙ্গি এনএস-১ পজ়িটিভ, সেপসিস উইথ সেপটিক শক উইথ মাল্টি-অর্গান ডিসফাংশন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এনএস-১ ছাড়াও অন্যান্য পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। তাই ওই কিশোরীর মৃত্যু ডেঙ্গিতেই হয়েছে কিনা, তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।
জানা যাচ্ছে, সল্টলেকের তিন নম্বর সেক্টরের ইএসআই আবাসনের বাসিন্দা রূপসী জানা (১৫) পুজোর আগেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল। সপ্তমীর দিন রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে। নবমীতে ওই কিশোরীকে ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ দশমীর দিন তাকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার ব্রড স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোমে। সেখানেই রবিবার মৃত্যু হয় রূপসীর। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই কিশোরীর পরিবারের আরও এক সদস্য জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
ঘটনাচক্রে, রূপসীর বাড়ির এলাকা বিধাননগর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেখানকার পুরপ্রতিনিধি বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ। ঘটনাটি প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিধাননগরে জ্বরে মৃত্যু চলতি বছরে এই প্রথম। বিস্তারিত ভাবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ২২৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের দাবি, অন্য বছরগুলির তুলনায় এই রোগের প্রকোপ এ বার অনেক কম। সল্টলেকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)