—প্রতীকী চিত্র।
ভোরবেলা থানায় এসে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে এক মহিলা জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর শাশুড়িকে খুন করেছেন। মহিলার মুখে এই কথা শুনে চমকে যান ওই আধিকারিক। সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলাকে নিয়ে এসে পুলিশ তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ভারতী নস্করকে। সে সম্পর্কে ওই বৃদ্ধার পুত্রবধূ।
রবিবার সকাল ছ’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সপা রায়পুরে। মৃতার নাম যমুনা নস্কর (৭৬)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী গোপাল নস্কর ও শাশুড়ি যমুনার সঙ্গে থাকত ভারতী। গোপাল একটি বেসরকারি ব্যাটারি কারখানায় কাজ করেন। ওই দম্পতি নিঃসন্তান। জিজ্ঞাসাবাদে ভারতী পুলিশকে জানিয়েছে, পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে তার প্রায়ই অশান্তি হত। এ দিন সকালে সেই অশান্তির মাত্রা চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, তখনই বচসার সময়ে যমুনাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় ভারতী। পড়ে গিয়ে বৃদ্ধার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। ভারতীর দাবি, এর পরেই সে থানায় এসে পুরো ঘটনা জানায়।
খবর পেয়ে মহেশতলা থানার পুলিশ পৌঁছে যমুনার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। তাঁকে বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনা প্রসঙ্গে গোপাল বলেন, ‘‘আমরা নিঃসন্তান। মায়ের সঙ্গে ভারতীর প্রায়ই অশান্তি হত। শনিবার কারখানায় আমার নাইট ডিউটি ছিল। সকালে বাড়ি ফিরে দেখি, দরজায় তালা ঝোলানো। তখন প্রতিবেশীরা আমাকে বিষয়টি জানান। এর পরে আমি থানায় যাই।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ভারতী ও গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গোপালের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ভারতীকে। তবে ওই ঘরে তল্লাশি চালিয়ে কোনও ধারালো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট আসার পরেই পুরো ঘটনাটি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy