Advertisement
E-Paper

দু’দফার পিটুনিতেই মৃত্যু যুবকের

সোমবার প্রগতি ময়দান থানা এলাকার মিলনমেলা প্রাঙ্গণের পিছনে মঠেশ্বরতলা লেনের নির্মীয়মাণ বহুতল চত্বর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৯ ০০:০১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রথম দফায় নির্মাণ শ্রমিকদের থাকার জায়গায়। পরের দফায় নির্মীয়মাণ বহুতলের প্রধান ফটকের কাছে। ওই দু’জায়গায় চার ঘণ্টা ধরে নৃশংস ভাবে পেটানো হয়েছিল চোর সন্দেহে আটক যুবককে।

সোমবার প্রগতি ময়দান থানা এলাকার মিলনমেলা প্রাঙ্গণের পিছনে মঠেশ্বরতলা লেনের নির্মীয়মাণ বহুতল চত্বর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, মারধরের সময়ে অভিযুক্তেরা ওই যুবকের দু’হাত পিছন থেকে বেঁধে দিয়েছিল। মারধরে নেতৃত্ব দিয়েছিল ধৃত বিপ্লব বিশ্বাস। সে ওই নির্মীয়মাণ বহুতলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত। জলের পাইপ ও কাঠের টুকরোর মতো জিনিস দিয়ে ওই যুবকের মাথা বাদে দেহের বাকি অংশে মারা হয়। ঘটনায় ছ’জন গ্রেফতার হলেও এক অভিযুক্ত পলাতক। বহুতলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছে পুলিশ।

দেহ উদ্ধারের দু’দিন পরেও অবশ্য মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। দেহ শনাক্ত করার জন্য বুধবার সব থানায় মৃতের ছবি পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি থানার বোর্ডে ওই যুবকের ছবি টাঙাতে বলা হয়েছে লালবাজারের তরফে। গত দু’দিনে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের নিখোঁজ যুবকদের সঙ্গে ছবি মেলানো হচ্ছে। পুলিশ জানায়, ওই নির্মীয়মাণ বহুতল চত্বরে রয়েছে শ্রমিকদের থাকার জায়গা। ধৃতদের দাবি, সেখানেই চন্দন দত্ত নামে এক শ্রমিকের মোবাইল চুরি করার সময়ে ধরা পড়ে ওই যুবক।

তবে চার ঘণ্টা ধরে গণপিটুনি চললেও কেন পুলিশের জানতে দেরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। লালবাজারের এক কর্তা জানান, আশপাশের এলাকা ফাঁকা হওয়ায় কেউ জানতে পারেনি। যখন বাসিন্দারা জেনেছেন, তখনই পুলিশের কাছে খবর পৌঁছেছে।

Crime Lynching Youth
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy