Advertisement
E-Paper

চল্লিশেও কুড়ির জেল্লা! এমন প্রশংসায় কেন বিশ্বাসী নন করিনার পুষ্টিবিদ? সুস্বাস্থ্যের অর্থ তবে কী?

সমাজ নির্ধারিত সৌন্দর্যের মাপকাঠিতেই বিশ্বাস রাখেন? বলিউড নায়িকা করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর ভাবেন অন্য ভাবে। নিজে যেমন, তেমন ভাবে নিজেকে গ্রহণ করার কথা কেন বলছেন তিনি?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:০৪
সৌন্দর্য এবং সুস্বাস্থ্যের কোন ধারণায় বিশ্বাসী করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর?

সৌন্দর্য এবং সুস্বাস্থ্যের কোন ধারণায় বিশ্বাসী করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর? ছবি: সংগৃহীত।

বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন বি-টাউনের তারকারা। ৫০-এও তাঁদের টানটান চেহারা, ফিটনেস, চটক চোখে পড়ার মতোই। তা দেখেই মজেছেন আপনিও? ৪০-এ ২০-র তারুণ্য ধরে রাখতে কড়া ডায়েট চলছে। যাপনের যাবতীয় কিছু মেপেজুপে করছেন?

“৪০-এ পৌঁছেও নিজেকে কমবয়সি হিসাবে মেলে ধরার চেষ্টা আদৌ প্রশংসার্হ হতে পারে না”, বলছেন বলিউড তারকার পুষ্টিবিদ। করিনা কপূর খান দীর্ঘ সময় যাঁর পরামর্শে খাওয়াদাওয়া করেছেন, ফিট থেকেছেন, তিনি হলে রুজুতা দিবেকর। মুম্বইয়ের বহু তারকাই রুজুতার কাছ থেকে পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শ নিয়ে থাকেন। সেই রুজুতাই কি না বলছেন, বয়স কম দেখানোর পিছনে না ছুটে, আপনি যেমন তেমন ভাবেই নিজেকে মেনে নিন!

ইনস্টাগ্রাম পুষ্টি ও ফিটনেস সংক্রান্ত নানা পরামর্শ দেন রুজুতা। তারকাদের সঙ্গে কাজ করলেও, তাঁর পরামর্শ থাকে সাধারণ, ঘরোয়া যে সব খাবার খেয়ে সকলে অভ্যস্ত, তা থেকেই সুস্থতা আহরণের।

সুস্থ এবং সুন্দরের যে মাপকাঠি সমাজে রয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন পুষ্টিবিদের। সুন্দরের সংজ্ঞায় স্বাভাবিক ভাবেই এসে পড়ে নির্মেদ চেহারা। ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই কঠোর শরীরচর্চা করেন। ডায়েটে করতে গিয়ে বাদ চলে যায়, পছন্দের বহু খাবার। ইচ্ছা হলেও, সে সব চেখে দেখেন না অনেকে। রুজুতা মনে করেন, ‘তোমার তো বয়স বোঝাই যায় না’— এমন উক্তিতে খুশি হওয়ার মতো কিছু নেই। বরং বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের যে বদল হয়, তা গ্রহণ করা দরকার।৪০-এ পৌঁছে চেহারায় বদল আসাই স্বাভাবিক! ওজন খানিক বাড়বে, তা-ও স্বাভাবিক। ৪০-এ পৌঁছেও তিনি সুস্থ রয়েছেন কি না, সেটাই আসল কথা। ৭০-এর ব্যক্তিকে বয়সোচিত দেখানোয় সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন তাঁর।

সুস্থতার সংজ্ঞা কিছুটা আলাদা রুজুতার কাছে। ওজন কমা বা বাড়া নয়, পুষ্টিবিদ বলছেন, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেখা প্রয়োজন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে শরীর তরতাজা লাগে কি না, রাতে ঘুম ভাল হয় কি না। মহিলাদের ক্ষেত্রে দেখা দরকার, ঋতুচক্র নিয়মিত কি না, সেটি বেদনাদায়ক হলে সাবধান হতে হবে। শুধুই ওজন কমানো, তা-ও আবার মিষ্টি বা পছন্দের খাবার একেবারে বাদ দিয়ে অর্থহীন বলে মনে করেন পু্ষ্টিবিদ।

রুজুতা ঘরোয়া খাবার খেলেও, পরিমিত আহারে জোর দেন। শীতের দিনে রকমারি লাড্ডু, মিষ্টি, গাজরের হালুয়া খাওয়াতেও আপত্তি করেন না তিনি। তবে তাঁর শর্ত একটাই, খেতে হবে মেপেজুপে। ডায়েট হবে এমন যে, খাওয়ায় ভাললাগা থাকবে। সুস্বাস্থ্য মানে তাঁর কাছে সুস্থ ভাবে প্রাণের আনন্দে বাঁচা, ৭০-এ পৌঁছে নিজেকে কমবয়সি দেখানোর চেষ্টা নয়।

Rujuta Diwekar Health Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy