মদন মিত্র। —ফাইল চিত্র।
দিনকয়েক আগেই তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘ক্যাচ ছাড়া পিজিতে রোগী ভর্তি করানো যায় না।’’ এমনকি, তিনি এ-ও দাবি করেন যে, সিপিএমের আমল হলে দু’মিনিটের মধ্যে রোগী ভর্তি করাতে পারতেন। শহরের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বাড়ার নেপথ্যে জেলা থেকে রেফারের পাশাপাশি ‘ক্যাচ’ (কারও সুপারিশে ব্যবস্থা হয়ে যাওয়া)-ও একটি কারণ বলে মত স্বাস্থ্যকর্তাদের।
স্বাস্থ্য শিবিরের একাংশের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাবশালীদের সুপারিশে চিকিৎসার ব্যবস্থা বা সুবিধা নেওয়ার চল রয়েছে। তবে, এখন তা আরও বেশি মাত্রায় হচ্ছে। মঙ্গলবার পিজি-র অ্যানেক্স কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে দু’টি নতুন পরিষেবার সূচনা অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের কথাতেও ‘ক্যাচ পেশেন্ট’-এর প্রসঙ্গ উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতার মধ্যে যে মেডিক্যাল কলেজগুলি রয়েছে, সেখানে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আগামী দিনে আরও বাড়বে। বাংলায় একটা কথা আছে, ‘ক্যাচ পেশেন্ট’। সরকারি হাসপাতালের উপরে মানুষের প্রত্যাশা রয়েছে, তাই ক্যাচও রয়েছে।’’
তিনি জানান, শহরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নিত্যনতুন পরিষেবা চালু হচ্ছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বাইরে সহজে পাওয়া না যাওয়ায় মানুষ পরিচিত কারও মাধ্যমে (ক্যাচ) তাঁদের কাছে পৌঁছচ্ছেন। স্বাস্থ্যসচিব জানান, প্রতিদিন প্রায় দু’লক্ষ মানুষ বহির্বিভাগে চিকিৎসা পাচ্ছেন। দেশের মধ্যে টেলি মেডিসিন পরিষেবায় এ রাজ্য দ্বিতীয় স্থানে। দৈনিক প্রায় ৬৫ হাজার রোগী ওই পরিষেবা নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy