হাওড়া শহরে বাড়ি ফাঁকা রেখে বেড়াতে যাওয়া যে আদৌ নিরাপদ নয়, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। এ বার লিলুয়ায় ছাদের দরজা ভেঙে একটি ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে লুঠপাট চালালো দুষ্কৃতীরা। চুরি গিয়েছে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না ও নগদ কয়েক হাজার টাকা। এর আগেও হাওড়ায় ফাঁকা বাড়িতে চুরির ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। কিন্তু তার পরেও এলাকায় টহলদারির ব্যাপারে পুলিশ কেন যথেষ্ট সক্রিয় হয়নি, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ৯ অক্টোবর সপরিবারে বর্ধমানে পৈতৃক বাড়িতে যান লিলুয়ার ভট্টনগর ত্রিপুরা লেনের বাসিন্দা সুমন্ত চৌধুরী। সুমন্তবাবু জানান, যাওয়ার আগে সদর দরজা-সহ অন্য ঘরে মোট ৬টি তালা লাগিয়ে যান। তাঁরা রবিবার রাতে বর্ধমান থেকে ফিরে আসেন। ফিরে দেখেন, বাড়ির সদর দরজায় তালা দেওয়া থাকলেও ভিতরের সমস্ত ঘরের তালা ভাঙা এবং প্রতিটি ঘর লন্ডভন্ড। শোওয়ার ঘরের আলমারি হাট করে খোলা। লকার থেকে উধাও কয়েক ভরি সোনার গয়না ও নগদ কয়েক হাজার টাকা। বিছানা ও মেঝেতে ছড়িয়ে রয়েছে জামা-কাপড়। পাশের প্রতিটি ঘরেরই এক অবস্থা।
সুমন্তবাবু বলেন, ‘‘ঘরের এই অবস্থা দেখে আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। যাওয়ার আগে আলমারির লকারে সমস্ত গয়না ও টাকা রেখে চাবি নিয়ে চলে গিয়েছিলাম। ফিরে দেখি অন্য একটি চাবি ঝুলছে লকারে।’’
সুমন্তবাবু জানান, এই দৃশ্য দেখার পরই তিনি পুলিশকে খবর দেন। লিলুয়া থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, দুষ্কৃতীরা সম্ভবত বাড়ির পাশে একটি গাছ বেয়ে এক তলা বাড়িটির ছাদে উঠেছিল। এর পর চিলেকোঠার দরজার একটি পাল্লা ভেঙে বাড়ির ভিতর ঢোকে। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।