Advertisement
১৮ মে ২০২৪

বেপরোয়া গতি ফের কাড়ল প্রাণ

পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল একটি লাল রঙের চার চাকার গাড়ি। প্রতক্ষ্যদর্শীদের অভিযোগ, তীব্র গতিতেই যাচ্ছিল গাড়িটি। তেঘরিয়া মোড়ের কাছে সে সময়ে সিগন্যাল ‘লাল’ দেখে রাস্তা পার হচ্ছিলেন বিকাশবাবু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০১:২৪
Share: Save:

ফের সকালে দুর্ঘটনা, ফের মৃত্যু। সল্টলেকের পরে এ বার তেঘ়়রিয়ায়।

দু’দিন আগেই সল্টলেকের বিডি বাসস্ট্যান্ডের কাছে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছিল এক মহিলার। শনিবার ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ তেঘরিয়া মোড়ে প্রাণ গেল বিকাশ মণ্ডলের (৬২)। রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা গাড়িটি ধরে ফেলেন। চালককে করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতের নাম, বুলান গুপ্ত। তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও মেলেনি পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল একটি লাল রঙের চার চাকার গাড়ি। প্রতক্ষ্যদর্শীদের অভিযোগ, তীব্র গতিতেই যাচ্ছিল গাড়িটি। তেঘরিয়া মোড়ের কাছে সে সময়ে সিগন্যাল ‘লাল’ দেখে রাস্তা পার হচ্ছিলেন বিকাশবাবু। কিন্তু তিনি রাস্তার অন্য পারে যাওয়ার আগেই সিগন্যাল ‘সবুজ’ হয়ে যায়। তীব্র গতিতে থাকা লাল গাড়ির চালক ব্রেক কষার চেষ্টা করেননি বলে অভিযোগ। গাড়িটি সজোরে বিকাশবাবুকে ধাক্কা মারলে তিনি ছিটকে পড়েন। তাঁর মাথা ফেটে যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান পথচলতি মানুষ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। দমদমের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধাক্কা মারার পরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে গাড়িটির চালক। কিন্তু সে চেষ্টা সফল হয়নি। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ সূত্রের খবর, সিসি টিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তীব্র গতিতে বিমানবন্দরের দিকে গাড়িটি চালিয়ে যাচ্ছিল বুলান। তাই তেঘরিয়া মোড়ে বিকাশবাবুকে দেখেও গাড়ি থামাতে পারেনি বুলান। শনিবার রাত পর্যন্ত গাড়ি চালানোর কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেনি বুলান।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, সকালের দিকে গাড়ির চালকরা কোনও নিয়মই মানেন না। ভোরে ট্র্যাফিকের নজরদারি থাকে না। ফলে বেপরোয়া যান চলাচলের মাত্রাও বেড়ে যায়। বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, চালকদের একাংশ কিছুতেই ট্র্যাফিক নিয়ম মানছেন না। লাইসেন্স বাতিল, নিয়মিত কেস দেওয়া থেকে শুরু করে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা করার মতো পদক্ষেপ করার পরেও তাঁদের হুঁশ ফিরছে না। ট্র্যাফিকের নজরদারি আরও বাড়ানো এবং আরও কঠোর পদক্ষেপ করে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Accident Speed তেঘ়়রিয়া Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE