Advertisement
২০ মে ২০২৪
দক্ষিণ দমদম

ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু, প্রশ্নের মুখে পুর প্রশাসনের ভূমিকা

চব্বিশ ঘন্টা না পেরোতেই দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার ডেঙ্গিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু ফের প্রশ্নের মুখে এনে দিল পুরসভার ভূমিকা। সোমবার ডেঙ্গিতে ওই পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিকোণ পার্ক এলাকার বাসিন্দা অসীমকুমার দাশগুপ্তের মৃত্যু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৫০
Share: Save:

চব্বিশ ঘন্টা না পেরোতেই দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার ডেঙ্গিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু ফের প্রশ্নের মুখে এনে দিল পুরসভার ভূমিকা। সোমবার ডেঙ্গিতে ওই পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিকোণ পার্ক এলাকার বাসিন্দা অসীমকুমার দাশগুপ্তের মৃত্যু হয়। রবিবার তাঁকে ভিআইপি রোডের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এই নিয়ে ওই পুর এলাকায়ট ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯।

রবিবারই ওই পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক বাসিন্দা মায়া মিত্র ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যালে মারা যান। অসীমবাবু পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, মহালয়ার দিন থেকে তাঁর জ্বর হয়েছিল। পরে ডেঙ্গি ধরা পড়ে। ১ লক্ষ ৮০ হাজারে প্লেটলেট নেমে আসায় তাঁকে রবিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তা নেমে দাঁড়ায় ২২ হাজারে। ছ’ ইউনিট প্লেটলেটও দিতে হয়। তাঁদের পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির জেরেই মৃত্যু হয়েছে অসীমবাবু।

অসীমবাবু ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সক্রিয় কর্মীও ছিলেন। এ দিন সকালে অসীমবাবুর মৃত্যুর পরে ওই বেসরকারি হাসপাতালের সামনের পরিবেশ বেশ খানিকটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করতে থাকেন তৃণমূলকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসকেরা রোগীকে ঠিক মতো পরীক্ষা করেননি। হাসপাতালে যান দমদমের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু-সহ দমদমের তৃণমূল নেতৃত্বও। পরে ব্রাত্যবাবু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, ‘‘আমার দলের কর্মী মারা গেছেন। তাই এসেছিলাম। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন কয়েক জন। তবে সেটা তদন্ত সাপেক্ষ ব্যপার।’’

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। মেডিক্যাল সুপার উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন,‘‘ ওই রোগীকে সব রকম পরীক্ষা করা হয়েছিল। ওঁর ফুসফুসে টিউমার ছিল। যে কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল না। তাই অত্যন্ত দ্রুত প্লেটলেট নেমে যায়।’’

ডেঙ্গি নিয়ে কথা বলতে দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) গোপা পাণ্ডেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এমনকী মুখে কুলুপ এঁটেছেন অন্যান্য পুরকর্তারাও। জনস্বাস্থ্য চেয়ারম্যান পারিষদ দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো সব চেষ্টাই করছি।’’ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর শিশির বল জানান, তাঁর ওয়ার্ডে অন্তত ৮০ জন ডেঙ্গি রোগী রয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

dengue death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE