এক ছাত্রের উপরে পুলিশি হামলার অভিযোগে শনিবার রাতে যাদবপুর থানা ঘেরাও করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। ছাত্রদের দাবি, এ দিন যাদবপুর থানার ক্যাম্পাসে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন অভিজিৎ সালুই নামে ওই ছাত্র। সেই সময়ে সেখানে আসেন রাজকুমার মণ্ডল নামে এক পুলিশ অফিসার। দোকানেই অভিজিতের সঙ্গে আচমকা ধাক্কা লেগে যায় রাজকুমারের।
তা নিয়ে বচসার জেরে অভিজিৎকে যাদবপুর থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, একাধিক বার বলা সত্ত্বেও ছাত্রেরা কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
ছাত্রদের অভিযোগ, অভিজিৎ যাদবপুরের মেন হস্টেলে থাকেন শুনেই তাঁর উপরে চড়াও হয় পুলিশ। তাঁকে জোর করে থানার ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। লক-আপের ভিতরে বসিয়ে রাখা হয়। পরে অবশ্য পুলিশের কয়েক জন অফিসার থানার মধ্যে অভিজিতের কাছে ক্ষমাও চান বলে জানিয়েছেন ছাত্রেরা। পুলিশের এক কর্তা জানান, বিষয়টি মিটমাট হয়ে যাওয়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই মেন হস্টেল থেকে ছাত্রেরা এসে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুলিশকে প্রকাশ্যে থানার বাইরে বেরিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করতে থাকেন তাঁরা। ওই পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘ওই সাব-ইন্সপেক্টর ওই ছাত্রটির কাছে দুঃখপ্রকাশ করে তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। আমরা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছি।’’
ওই সাব-ইন্সপেক্টর যে অভিজিতের সঙ্গে মিটমাট করে নিয়েছিলেন, তা রাতে থানার সামনে অবস্থানকারী ছাত্রেরা স্বীকার করেও নেন। কিন্তু ছাত্রেরা জানিয়েছেন, ওই বিষয়টি মিটে গেলেও তাঁরা কোনও ‘আপসে’ যাবেন না।
বিক্ষোভরত ছাত্রদের মধ্যে জনৈক শ্রমণ গুহের কথায়,‘‘ এখানে বিষয়টি শুধু এক জন পুলিশ আধিকারিক আর এক ছাত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা যাদবপুরের সম্মানের প্রশ্ন। যাদবপুরের গায়ে হাত পড়েছে। তা ছাড়া ওই পুলিশকর্মী এমনই বার্তা দিয়েছেন যে, পুলিশ চাইলে ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণেও সে এক জন মানুষকে থানায় নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করতে পারে। আমাদের দাবি, পুলিশকে প্রকাশ্য রাস্তায় নেমে ক্ষমা চাইতে হবে।’’
ছাত্রেরা জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শুনলেই পুলিশ তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। কিন্তু আজকের মতো কখনও এ ভাবে থানায় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ছাত্রেরা জানান, পুলিশ তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা থানার সামনে অবস্থান করবেন।