অবতরণের পরেই আগুন লাগল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের চাকায়। শনিবার বিকেল তিনটের কিছু পরে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ওই সময়ে বিমানে ১৩২ জন যাত্রী ও ৭ জন বিমানকর্মী ছিলেন। কিন্তু সকলকেই নিরাপদে বিমান থেকে বার করে আনা হয়। কী করে বিমানের চাকায় আগুন লাগল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)।
এই ঘটনার সূত্র ধরে প্রশ্ন উঠেছে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও। ঘটনার জেরে সমস্যা হয়েছে অন্য বিমানের যাত্রীদেরও। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সূত্রে খবর, ওই সময়ে সে সব বিমানের অবতরণের কথা ছিল, সেগুলিকে আকাশে চক্কর কাটতে বলা হয়। এর ফলে খান চারেক বিমানের উড়তে দেরি হয়েছে। অবতরণে বিলম্ব হয় ১০টিরও বেশি বিমানের।
যদিও এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি, বিমানের চাকায় আগুন লাগেনি। এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিপত্তি হয়েছে বিমানের চাকা বসে যাওয়ায়। তা বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটি থামিয়ে দেন পাইলট।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ডিব্রুগড় থেকে ডিমাপুর হয়ে এ দিন দুপুরে কলকাতায় নামে বিমানটি। তখনই ওয়াচ টাওয়ার থেকে এটিসি-র অফিসারেরা দেখেন, বিমানের চাকা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এটিসি সূত্রে খবর, সঙ্গে সঙ্গেই পাইলটকে সচেতন করা হয়। কিন্তু পাইলট জানান, কোনও সমস্যা নেই, বিমান স্বাভাবিক ভাবেই এগোচ্ছে। কিন্তু এর পরে বিমানটি ট্যাক্সি বে-র দিকে এগোতেই চাকা থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখে এটিসি-র অফিসারেরা পাইলটকে ফের সতর্ক করে তৎক্ষণাৎ বিমান থামাতে বলেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলকর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান। বিমান ফাঁকা করার পরে দমকলকর্মী ও ইঞ্জিনিয়ারেরা সেটি পরীক্ষা করার জন্য যান। বিমানটিকে সরানোর পরেও আধ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় রানওয়ে। কলকাতা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর বিপি শর্মা বলেন, “বিমান নামার পরে চাকায় ধোঁয়া এবং আগুনের ফুলকি দেখা যায়। কিন্তু সময় মতো দমকল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy