ডাকাতি ও গণধর্ষণের মামলায় চার অভিযুক্তকে মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুরের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। তবে, যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ না থাকায় এই মামলার এক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছেন বিচারক।
আদালত সূত্রের খবর, শেখ রমজান, ইমাম শেখ, আবদুল হামিদ মোল্লা ও ধনু শেখ নামে চার অভিযুক্তকে এ দিন দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক অয়ন মজুমদার। এদের মধ্যে ইমাম শেখের আগেই মৃত্যু হয়েছে। ইব্রাহিম শেখ নামে আর এক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। সরকারি আইনজীবী অরবিন্দ মিত্র বলেন, ‘‘২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি দক্ষিণ শহরতলির একটি বাড়িতে ঢুকে ডাকাতির পরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ওই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা ও সোনার গয়না লুট করেছিল ওই পাঁচ দুষ্কৃতী। এর পরে স্বামী ও পাঁচ বছরের শিশুসন্তানকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে মহিলাকে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে পর পর ধর্ষণ করে তারা।’’
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় ২০ থেকে ২২টি ডাকাতি ও গণধর্ষণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়ায় টি আই প্যারেডে অভিযুক্তদের শনাক্ত করেন নির্যাতিতার স্বামী ও তাঁদের পাঁচ বছরের সন্তান। লুট হওয়া সোনার গয়না ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ধীমান বৈরাগী নামে মামলার তদন্তকারী অফিসার পাঁচ জনকে অভিযুক্ত বলে দাবি করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে রেখে বিচার প্রক্রিয়া চালানো হয়। মামলা চলাকালীন ইমাম শেখ নামে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। তবে, মৃত ইমাম শেখকেও দোষী
সাব্যস্ত করেছে আদালত। আগামী কাল, বৃহস্পতিবার দোষীদের সাজা ঘোষণা করা হবে বলে আদালত সূত্রের খবর।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)