যাত্রী-নিরাপত্তার কথা ভেবে কলকাতা বিমানবন্দরের দ্বিতীয় রানওয়ের মুখে থাকা মসজিদ সরানো হবে কি না, কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনার পরে সেই বিতর্ক আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। কারণ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, রাজারহাটের দিক থেকে নেমে কোনও কারণে রানওয়েতে বিমান দাঁড় করাতে না-পারলে মসজিদের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, যে মুষ্টিমেয় মানুষ ওই মসজিদে নিয়মিত নমাজ পড়তে যান, তাঁদের জন্য এত বিপুল সংখ্যক বিমানযাত্রী কেন ভুগবেন? এর ফলে তাঁদের আরও বড় বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে না তো?
যদিও ওই মসজিদের ইমাম মহম্মদ মনিরুল ইসলাম দাবি করেছেন, এখন করোনার জন্য লোক কম আসছেন ঠিকই। কিন্তু অন্য সময়ে প্রতি শুক্রবার প্রায় ২০০ মানুষ ওই মসজিদে নমাজ পড়তে আসেন। নিয়মিত বহু মানুষ পাঁচ বার সেখানে গিয়ে নমাজ পড়েন। মসজিদ কমিটির প্রধান তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও জানিয়েছেন, ইফতার, সবে বরাত-সহ নানা অনুষ্ঠানে মসজিদে ভিড় হয়। তিনি জানিয়েছেন, মসজিদ সরানোর জন্য উপযুক্ত স্তরে আলোচনার প্রয়োজন।
যশোর রোডে বিরাটি ছাড়িয়ে আরও উত্তরে গেলে বাঁকড়া। বাঁকড়া মোড়ের উল্টো দিকে বিমানবন্দরের সাত নম্বর গেটের ভিতরে ওই মসজিদ। যাঁরা নিয়মিত সেখানে যান, তাঁরা মূলত স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদেরই এক জন মেহবুব আলির কথায়, ‘‘১৭০ বছরের পুরনো মসজিদ এটি। তখন কোথায় ছিল বিমানবন্দর? ১৯৬২ সালে বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। যশোর রোড তখন ছিল মসজিদের গা-ঘেঁষে। কিন্তু বিমানবন্দের স্বার্থে সেই রাস্তা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। মসজিদ পড়ে যায় অধিগৃহীত জমির ভিতরে।’’