বইমেলা। ফাইল চিত্র।
বইমেলার স্টল থেকে খাবার কিনে খেয়ে বিষক্রিয়া! সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই অভিযোগ তুলেছেন রাশিবিজ্ঞানের গবেষক সুমন সরকার। আর তার সূত্র ধরে অনেকেরই অভিযোগ, বইমেলার স্টলে খাবার খেয়ে তাঁদেরও একই অবস্থা!
আইএসআই-এর গবেষক সুমন জানিয়েছেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বইমেলার একটি খাবারের স্টল থেকে দু’টি এগ-চিকেন স্যান্ডউইচ খেয়েছিলেন তিনি। হস্টেলে ফেরার পরে রাতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পেটখারাপ ও বমির সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। চিকিৎসক জানান, ওই স্যান্ডউইচ থেকেই বিষক্রিয়া হয়েছে। সুমন বলেন, ‘‘আমার রক্তচাপ খুব কমে গিয়েছিল। ডাক্তারবাবু নার্সিংহোমে যেতে বলেন। মা-বাবা আমাকে বাড়ি নিয়ে আসেন। সেখানেই চিকিৎসা হয়। শরীর এখনও খুব দুর্বল।’’
সুমনের ফেসবুক পোস্টের নীচে একই অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন তানিয়া চক্রবর্তী, বাসুদেব রায়চৌধুরীর মতো বেশ কয়েক জন। তাঁরাও ১০ ফেব্রুয়ারি বইমেলার স্টল থেকে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দমদমের বাসিন্দা তানিয়া জানান, তিনি ও তাঁর এক বন্ধু এগ-চিকেন স্যান্ডউইচ এবং রেশমি কাবাব খেয়েছিলেন। তার পরে বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পেটখারাপের সঙ্গে জ্বর। বাসুদেববাবু জানান, একই দিনে বইমেলায় তিনিও এগ-চিকেন স্যান্ডউইচ খেয়েছিলেন, যার ফলে রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বাগুইআটির দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা অমৃতা সাহা জানিয়েছেন, তাঁর বোন অনুসৃতা দুই বন্ধুর সঙ্গে বইমেলায় গিয়েছিলেন। তিন বন্ধুর মধ্যে দু’জন চিকেন স্যান্ডউইচ খেয়েছিলেন। খেয়ে দু’জনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের ভর্তি করতে হয় নার্সিংহোমে।
সুমনবাবু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক বইমেলায় খাবার নিয়ে এত অভিযোগ! বইমেলায় অবশ্যই এক জন ফুড ইনস্পেক্টর থাকা উচিত।’’ বইমেলার উদ্যোক্তা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড-এর সভাপতি সুধাংশু দে বলেন, ‘‘বইমেলা নিয়ে এই প্রথম এ ধরনের অভিযোগ শুনলাম। তা-ও মেলা শেষ হওয়ার চার দিন পরে। আমরা নামী সংস্থাদেরই ফুড স্টল করতে দিয়ে থাকি, যাদের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স রয়েছে।’’ তবে এই অভিযোগের পরে আগামী বছরগুলিতে ফুড ইনস্পেক্টর রাখার কথা তাঁরা ভাববেন বলে জানিয়েছেন সুধাংশুবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy