Advertisement
E-Paper

বিশৃঙ্খলায় রাশ টেনেই উদ্‌যাপন

পুলিশের অনেকেই বলছেন, শহরের এই ভিড়, বিশেষ করে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে গত কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত বাড়ছে। তাই এ বার আরও বেশি করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৩৭
প্রহরা: ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ। সোমবার রাতে, পার্ক স্ট্রিটে। নিজস্ব চিত্র

প্রহরা: ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ। সোমবার রাতে, পার্ক স্ট্রিটে। নিজস্ব চিত্র

ঘড়ির কাঁটা তখন ১২টা ছুঁইছুঁই। কিন্তু পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কের সামনে উন্মাদনায় খামতি নেই জনতার। স্টিফেন কোর্ট বা এশিয়াটিক সোসাইটির ফুটপাত দিয়ে দলে দলে মানুষ চলেছেন সে দিকে। পার্ক অবশ্য বন্ধ। তবু সেই বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়েই চলছে নিজস্বী তোলা। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখলেই রীতিমতো ‘পোজ’ দিতে দাঁড়িয়ে পড়ছিলেন অনেকে।

এ ভাবেই গল্পে গল্পে রাত জাগল কলকাতা। সোমবার রাত ১২টার কিছু ক্ষণ আগে থেকেই গির্জায় গির্জায় শুরু হয়ে যায় প্রার্থনা। সেন্ট পল্স ক্যাথিড্রালের প্রার্থনায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নিশুতি রাতেও শহরের রেস্তরাঁ ও খাবারের দোকানগুলিতে তখন উপচে পড়া ভিড়। রাস্তায় পার্টিফেরত মানুষের জটলা।

পুলিশের অনেকেই বলছেন, শহরের এই ভিড়, বিশেষ করে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে গত কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত বাড়ছে। তাই এ বার আরও বেশি করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট, মিডলটন স্ট্রিটে হুজুগে ভিড় নজরে এলেও ক্রিসমাস ইভের রাতে বিশৃঙ্খলা সে ভাবে নজরে আসেনি। গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম নজরে এসেছে মোটরবাইকের দাপটও।

রাত ১০টা নাগাদ বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এবং ওয়াটারলু স্ট্রিটের সংযোগস্থলে প্রায় প্রতিটি মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চলছিল। হচ্ছিল ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’ দিয়ে পরীক্ষা। কিন্তু রাত একটু গভীর হতেই দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় হেলমেটহীন বেপরোয়া মোটরবাইক নজরে এসেছে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় দেখা যায়, মোটরবাইকের ‘রেস’ চলছে। অধিকাংশের মাথাতেই হেলমেট ছিল না। এক-একটি মোটরবাইকে তিন জন আরোহীও দেখা গিয়েছে। রাত ১টা নাগাদ বিড়লা তারামণ্ডলের কাছে দাঁড়ানো এক সার্জেন্টের সামনে দিয়েই বেপরোয়া গতিতে বেরিয়ে গেল একটি মোটরবাইক। চালকের মাথায় হেলমেট ছিল না।

পুলিশকর্তারা অবশ্য বলছেন, বেপরোয়া মোটরবাইক চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। কিছু মোটরবাইক পুলিশের নজর এড়িয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলেও ক্যামেরার নজর এড়াতে পারবে না। ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নম্বর চিহ্নিত করে বাইকের মালিকদের জরিমানার চিঠি পাঠানো হবে।

Chrismas Park Street
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy